এই রোদ্দুর এই কুয়াশা তোর নির্জনতার ভেতর কি যে করে
কি যে বলে যায় ... রঙিন গামছায় চকরাবকরা তোয়ালেতে
কিশোরীবেলার ভোর লেগে আছে ... তোর চিকিৎসা চড়ে পার হয়ে
যাই দুর্গন্ধময় বাথরুম আর প্রামাণ্য লাশে ভরা মর্গ...
যারা ভূত নয় , কোনোদিন ভূত ছিল না তাদের কণ্ঠস্বর হঠাৎ
কি করে যে সন্ত্রাসবাদী হয় ,বুঝি না ... ভূতেরা যৌনতাপ্রবণ
বিশেষত ভাড়াক্কা বাসে – এই শিরোনামে তোর ডায়রি
যানবাহন লক্ষ্য করে বাক্যসংখ্যা বাড়ায়
শ্মশানের চিতা নিভে যাবার আগে আর একটি সংসার রচিত হয় ...
সেই সংসার যদি তোকে নিয়ে মাতৃতান্ত্রিকও হয় , আমাদেরও
চাষআবাদে সাম্প্রতিক চৈতন্যের ইচ্ছাগুলি যুক্ত হতে পারে ...
যে ভাবে তুই শ্মশানযাত্রার দিন ক্রমশ পিছিয়ে দিচ্ছিস ,
তাতে সার্কাসের কোনো খেলারই রেফারেন্স চলে না ...
আমি নিতান্ত শিশু , গণনা ভাল করে জানিনা বলে
পৃথিবীর যতো নাম আছে , সব নামে তোকে বারবার ডাকি
বিপ্লব কেন বারবার পিছোয় বাংলার সব লোক জানে ... তুই
যেটা জানিস সেটা অলৌকিক জানা বলে ... যেখানে কোনো ইঞ্জিন
ও আরডিএক্স পৌঁছাতে পারে না ... পৌঁছয় কিছু হৃদয় যে হৃদয়ের
জুড়ে দিচ্ছিস ... আমি যখন লোভাতুর হই নলেন গুড়ের ও
জয়নগরের মোয়ার , তোকে দেখি শ্রেণীচ্যুত হয়ে সমুদ্র যেভাবে
অ্যাপ্রোচ করে , সেইভাবে গৃহের অন্তর বাহিরে কাজ করে যেতে