মজনু শাহ্
অরক্ষিত মূহুর্তগুলো
১.
আমার দেখাগুলো সবসময় রয়ে যায় অসম্পূর্ণ । কলহমুগ্ধ পাখিরা উড়ে গেলে পরে সেদিন এক কাব্যনিন্দুককে দেখেছি, বইপত্রের টিলায় বসে বসে লেজ নাড়ছে! তার দুই হাত আর লাল টকটকে গণ্ডদেশে আঁকা আছে দুর্বোধ্য ট্যাটু । কাছে যেতেই খ্যাক খ্যাক করে হেসে বলল, ‘খুব অরক্ষিত মূহুর্তগুলো কিভাবে সামাল দাও তুমি?’ এর, এদের, যে-কোন জিজ্ঞাসায় নিরুত্তর থাকি । সম্ভবত, অভিব্যক্তিহীন । এখানে প্রথম মূষিকের সঙ্গে সমস্তরকম সন্ধি, বাহ্! কিছু পরে ঐ মূষিকেই ভক্ষণ । বহুতর মৃগবধ আরও কিছু পরে ।
২.
কিছুদিন হল, ঘুমোবার আগে, বাঘদের ঘ্রাণ পাই । এ কিসের আলামত? স্বপ্ন বলো, হরিণ বলো, মাইরি কারো এনাটমির জন্য আমি দায়ী নই । ঘুণ-ধরা জানালার গায়ে চাঁদ এসে একবার করে তার গা ঘষে নিয়ে যায়, তা আমি না-দেখার ভাণ করে শুয়ে থাকি । বড্ড আশ্চার্য তোমার উপন্যাস, হংসধ্বনি, শুধু হংসধ্বনি পাতায় পাতায়, আর এর শেষ পৃষ্ঠা কে ঢুকিয়ে দিয়েছে মাঝখানে, তা-ও কেউ বলতে পারছে না, লেখক নিজেই কি? নৌকার ভেতর সে যখন ঘুমিয়ে পড়ল, মাথা তার বুদবুদের মতো উবে গেছে, আজ লাল পিঁপড়েয় ভরে গেছে নৌকাখানি ।