রঙ্গীত মিত্র
চোখ খারাপ বিষয়ক
কালো রঙের ওভার কোট ।
রিক্সা চরার রাত।আমার
দৃষ্টিশক্তিকে টেনে
নিয়ে বলছে,আমায়
দেখো?কাকে দেখবো?একা না
প্রত্যেকে...
অনবরত ঘাড় ঘোরাতে
ঘোরাতে চোখটাই খারাপ
হয়ে যাচ্ছে,আমার।
জীবন-যাপন
আলসে রং-এর জামায়
যেখানে পৃথিবী মুখ বার
করে থাকে ;
যেখানে সার্টের
প্রতিটা বোতাম...জিনসের
কোমরের বেল্ট
পকেট থেকে পেট ভারি করা
চাঁদের মতো মোবাইল ।
যদিও ওয়াইন হলেই
ভালো,তার সাথে একটু
আধটু সুখটান
শীতের লেপের মতো
অজস্র-সম্পর্ক (যদিও
পুরুষ নিজের কথাই বলে)
নিজের কথায় বেকার
স্বাধীনতা বারকোড-এর
ভাষায় কিসব লেখে।
আমার না হয় ঘুমিয়ে পড়ার
বয়স
আমার না হয় দূর থেক দেখে
যাওয়া পাখি
এসব না কি নিয়ম উলটে
দিলে পরকীয়ার বাঁ দিকের
ক্ষত
শোষণ করার পর শাসনের
ফুটপাথে চড়াইরাও
ক্যামেরা নিয়ে আসে
কিন্তু যৌনতার থেকেও কি
কখনো আলাদা ভাবনা বাঁচে
?
অ্যাকাউন্টেন্সি
মাথা ভিতর থেকে সিলেবাস
সাহেব বেরিয়ে এসে
দেকচেন
তুমি মেয়েদের সাথে
চ্যাট করিতেছও।
একে তো বাঙালী ; তারপর
আমাদের অনুমতি নাও নি
এর পর কিনা পরীক্ষায়
পাশ করিবে?
পরিবারের লোকজন তো হেবি
খাপ্পা
রাজনীতি নিয়ে আবার একি
কতা বলতিচি ।
না না আলাদা হওয়া
যাবেনই বাবু
সোশাল হতি হবে ; তার উপর
এলিট।
আজকাল আমি সব জুত দিয়ে
চিনি বলে
কি রাগ সব্বার।এদিকে সব
ঢপে ভর্তি যে
তাহা জানার জন্যে আমার
আর বদলানো হলও
না,এজন্মে।কি দুক্কু
গো...কে আচো...
"Accountancy-r 3ti problem solve kroe debe ka
u??"
ব্যাটেল-ফিল্ড কাকে
বলে?
সামনে পরীক্ষা।এবং
নানান রকম পরীক্ষা
সংক্রান্ত
প্রতিহিংসার আঁচ
পাচ্ছি। আসলে
বিভেদ...বৈষম্য...এইসব...কেউ
ভালো কিছুকে মেনে নিতে
চ্যাঁয় না। ক্ষমতা
প্রিয়। দলবাজি করে।
অন্যরকম ভাবার
পরিপন্থী। আমি সেইসব
কিছু প্রতিবন্ধকতা
মাথায় রেখে সোমবার থেকে
পরীক্ষা দিতে
যাবো।তোমরা আমার পাশে
থেকো...এযেন
ব্যাটেল-ফিল্ড !
রাষ্ট্রকে
কলকাতার মধ্যে দিয়ে
যেখানে এখনো ফেসবুক
আসেনি।
যেখানে এখনো বৃটিশঘুম
থেকে
উঠে শহর বলে ওঠে
এই যানজটে আমার বাড়ি ;
আমার বাড়ি-সমূহের ভিতর
চুপটি করে বসে।
এখানে যদিও লেজতোলা
বেড়ালের মত
এসি মেশিন
ধৃতরাষ্ট্রের মত
কোনও এক বসন্তে,রাষ্ট্র
ও ধরা পড়ে এখানে।
"True Love Leaves No Traces"
গাছের নিচে পড়ে থাকা
শীতকালের মতো
কিম্বা বানানো শহরের
মতো ;
ছকের উলটো দিকেই
গেলেই,অন্যপক্ষ ।
বিশ্বাসকে যাদুঘরে
রাখা আছে বলে
তাই ঘুমনো যায় না।
এ যেন চিনি ছাড়া লেবু চা
আমি যেন নিজেকে ছাড়া
কাউকেই শ্রেষ্ঠ বলতেই
পারি না।
নিজের সম্বন্ধে
তোমার জিনসের পকেট থেকে
মুখ বার করে থাকা
গোটা পৃথিবীর চোখ ।।
তোমার হারানো এক এক
একটি হারানো পদক্ষেপ
আমাকে মনে করিয়ে দেয়
সিগারেটের প্যাকেটে
কটা সিগারেট আছে আমি
জানি না
আমি জানি না কোথায়
সস্তায় হোটেল পাওয়া
যায়।
লাইটারের আগুনের মতো
জীবনের চুল্লীতে আমি
শুধু আগুন ধরিয়েই,
নিজেকে কি না ভেবেছি?
সর্বস্ব
অবসর খুলে ফেলে ঘুম
আটকে আছে
বিছানায়।যেরকম শরীরের
সাথে তার সাজের
প্রয়োজন।প্রয়োজন
মাফিক তাই ক্লান্তিও
আসে।চোখ দিয়ে জ্বালা
করা দিন...কাঁপুনির
ওয়াইন পরিষদ । এভাবেই
রঙিন পথ ঘাট
পাখিরা তাদের সৌন্দর্য
উজাড় করে ( নতুন
ব্র্যান্ডের সিগারেট )
আমার-ই মতো অটো বাস (
অ্যাকাউন্টের অঙ্কের
মত )
কিম্বা সিগন্যাল
পেরিয়েছে কখনো (যদিও
সবই বিভিন্ন নেশার বোতল
!)
কখনো বা শুক্রবার
অতিক্রম করে,সন্ধ্যের
ঝিল হয়ে জেগে আছে।
জেগে আছে আমার সর্বস্ব
নিয়ে।
কে কি বলল
সাদা কালোর মিশ্রণ আমার
খুব ভালো লাগে।সাদা
সার্ট এবং কালো
জিনস...সাদার সাথে
যেকোনো রং বেশ মানান
সই...বিশেষ করে কালো
জিনস...সেই রং-এ আজ বার
বার দেখেছি
যে তোমাকে ঃ "All You Need Is
Love"
আবার উত্তর লেখা
গোলাপী রং-এর টিশার্ট
পরে জোছনা বাইকের পিছনে
বসে
ব্রিজের হাতল ধরে
রেলস্টেশন পেরিয়ে
এখন সিগন্যালের সামনে
শান্ত হয়ে বসে,বুঝছে
একদিকে গাড়ি চললে কেন
অন্যদিকটা নির্জন
থাকে।
নির্বাসন
আবরণ যৌনতার
সমানুপাতিক ভেবে
আমরা বয়স নামক শর্ত
চাপিয়ে দিয়ে
সমালোচনা করি।
নিজে পারি না বলেই আমরা
সমালোচনার কুয়ার বদলে
টিউয়ে-ল বসিয়ে আর্সেনিক
তুলে আনি।
ক্যামেরা অন করে অনলাইন
করে ফেলি
আমার গোপন চাহিদা।
এদিকে চাহিদার একটা গাছ
হয়েছে।
তার না কি ব্র্যান্ড
নামক বাহানা
যদিও আজকাল খুব ভয় ভয়
কথা বলি
শরীর নিয়ে বেশিদিন কথা
বললেই,মার্ক হয়ে যাবো।