রাস্তা
গা খুলছে অন্ধকার, ভষ্ম
একটা মই ভাসানো দেশ কান্না ঠেলে দিল
উগরে আসে লিঙ্গ আর যোনি আর মৌন আর চুল্লি
আমার হাঁটা অন্য কেউ তোমার হাঁটায় নসিব
জন্মদিন
ধরলেই ফুরিয়ে যাচ্ছে এমন আত্মীয়
গেল গেল এমন এক ঠিকানা নতুন
প্রসব সাদা সাদা চশমা সফেদ স্নান
কিছুতেই শুকোচ্ছে না এমন এমনকি জন্মদিন
ছায়া
ছায়া মুছতে ভাঙতে বেড়ে যাচ্ছে ক্ষত
গোলকিপারের কিছুই করার থাকে না, পিন্ড
একা, দুহাত
খেলতে খেলতে বল নিজেই রেফারি
ওহ্ কবিতা
সুদূর কতটা দূর রঙ থেকে আর রান্নাঘর
এইমাত্র ছুটি শুরু হল একেকটা খিদের
অপমান ঠোঁটে নিচ্ছে কাক ও কলাপাতা
দোল দাও আমাকে প্লিজ কবিতা
বাংলাদেশ
নার্সিংহোম আস্ত এক বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছে
ক্যাথিড্রালে মজা পুকুর নলে ঢুকে পড়া বাতাস
প্রত্যেক চ্যানেলে হাঁসফাঁস নদী
মা হাসছে ... জন্মদেশ
গন্ধ
জল লুকোতে এগিয়ে এল শীতকাল
ততক্ষণে আগুন মুছিয়ে দিচ্ছে যৌনতা, আজীবন
চুম্বন করবার আগে সমঝে নাও
আমার ঠোঁটে কিন্তু মায়ের গন্ধ
ঘুম
নার্সের বুকের দিকে তাকাতে নেই
এই সময়, জিজ্ঞেস করতে নেই – ‘আলো?’
অসুখের ছালবাকল বোঝাতে শোনাতে
আয়ু গলে যাচ্ছে ঘুমে
নাম্বার
মায়ের নামঃ বেড নং ১০৬
মায়ের নামঃ আই সি ইউ – ৪
থুতু রক্ত নিশ্বাস
জল মাটি হাওয়া
একা
ব্যোম ফাটল হাঁটল মৃত্তিকা
ঝিমোচ্ছে দ্বি-প্রহর
যে কখনও দুপুর হবে না
দেখা থেকে চোখ ফিরছে একে একে একা
মা আর ছেলে
পান সুপুরি জর্দা আর বারান্দা ছাদ জানলা
কে কাকে খুন করবে... আদর
মৃদু থেকে মন্দ হচ্ছে সুতো খুলছে নাভি
মা ও ছেলে একটা মাটির রাস্তা নতুন বুনছে