তক্ষক
আমি তার পড়শি হয়ে রয়েছি আজন্মকাল
জানি তার গান আছে, - মাঝে মাঝে প্রতিধ্বনি হয়
খোলা দরজা দিয়ে দেখি চারকোনা এক একটা ঘর ফাঁকা
নিজেরাই চিত্কার করে জানলা বন্ধ করে।
কে যে কাকে ডাকে আর কে যে কাকে ফেরায় বুঝিনা
কেন যে থমথম করে সারারাত বুকের ভিতরে--
ওদের কোথাও কোনও ভ্রমণকাহিনি নেই....ফিরে আসা নেই
কেবল দু'একটি বার কেঁদে ওঠে টেলিফোন
খোঁজখবর নেয়।
বাইরের রাস্তা থেকে শোনা যায়, নিশিডাক, একা একা ঘোরে!
সাহেব
কেন যে তাকিয়ে আছ, মিঠে ছুরি মারছো মোশায়েবি
পায়ে কি মাইন বাঁধা? কেন চোখে লেগে আছে ভয়?
আহা কী বোবার মুখ, ভাজা মাছ উল্টোনো বারণ
তবুও আলপিন হয়ে বিঁধে যাচ্ছ নিঁখুত ফাইলে।
ফ্যাকাশে মুখের পাশে, নাম-ঠিকানা নম্বর লিখেছ
পকেটে টিকিট, তার দাম আছে, যাত্রাপথ নেই
সাইরেন বাজছে শোনো, দিন তবে পাল্টালো রুমাল
মধুর বাঁশির শব্দ এখনো কি লেগে আছে ঘুমে?
মিথ্যে মনে হবে তাই সত্যিগুলো আস্তিনের ভাঁজে
লুকিয়ে উত্সব করছ, নিজেও উৎসব হয়ে আছ
কয়েকটি শব্দের পরে ধ্বনি বলছো মায়াবী পর্দায়
তুমিও কি ফিকশন শুধু? গাছে উঠে মই কেড়ে নেবে?
রোদ্দুর রয়েছে লেগে বিছানায় অভিব্যক্তিহীন
ঈশ্বর
মাথায় পাথর বেঁধে
হামাগুড়ি দিচ্ছে ঘুম, ওষুধে মেশানো।
চিৎকার, তোমায় ভাবি, গুটিয়ে থেকো না
কত গল্প লিখল শব্দে তোমার জীবন
ঠান্ডায় জমল কত শীত
রাস্তা কত ঘর হলো, ভ্রমণকাহিনি হলো দিনলিপিগুলো
উষ্ণতা তোমায় ডাকছে, সাড়া দাও, আক্ষেপ কোরো না
পারলে দুটো মিথ্যে কথা বোলো
এক একটা দিনের খোসা জমে থাকে ঘড়ির কাঁটায়
অঙ্কশায়িনী
বেকসুর চাঁদ জাগে চোখের উপরে, তার ভাষা আমি দেখি শুয়ে আছে
সমাধিতে শুয়ে থাকা মোমের স্তনের মত স্থির
আমি তার ঘন হয়ে আসা ঠোঁটে ঢেলে দিই আমার ভূমিকা
শ্বাস ওঠে নামে, তবু জেগে উঠতে উঠতে সেও ঘুমোয় আবার
চোখের জলের শব্দ ড্রিপ ড্রপ ড্রিপ ড্রপ ড্রপ
জল দেয়
অন্ধকার জলে
ভিড়
শহর লিখোনা আর, অনেক শহর হয়ে গেছে
বিষাদ, সানাই, তুমি বাজিও না মালকোষ এখন
বুলডোজারের সামনে ঘন ঘন নি:শ্বাসের পর
সিগারেট ধরাও, আর লক্ষ্য রাখো ভিড়ে যেন
ছাইটুকু না ওড়ে এখন...
দু:খ তো তোমায় খোঁজে, নিজের পায়ের ছাপ
রাখো কেন কাদার উপরে?