কেবলি অতিক্রমে যাকে আমি অরূপের দিকে
অবয়বহীন এক নিটোলতা
স্বেচ্ছাধীন ছুঁড়ে ফেলা খেলাভুল
এইদুই হাত দিয়ে নামিয়ে রেখেছি
আর প্রতিমা কাঠামো থেকে কী দীপ্র চোখ,
শুধু চোখ--- চেয়ে থাকা চেয়ে নিলো
রস
তীব্রতা খুলবে বলে বাকলের সেজে ওঠা
রজনের আলতোয় ঠোঁট , সোঁদা অবধি
শোষনক্ষমতা উপচে যাচ্ছে শিকড়বাকড়ের সীমা
তীব্রবিন্দু ঘিরে ঘিরে পরীনাচ
ক্ষিধের শেষটুকু তরলে তরল
বিষ ছেঁকে আলজিভ ভারি হয়ে থাকে
বর্ণ...
অন্ধতা , চোখ থেকে নেমে এসে
স্বর ও ব্যঞ্জন খুঁজতে বেরোলো
অশনিসংকেত যা কিছু, তার নস্যাৎ এ
প্যালেট বদলে নিলো জল আর তেলের জ্যামিতি
পা বেয়ে গড়িয়ে আসা ঋতুরং
জমাট বাঁধতে থাকে মৃৎপাত্রের কাঠিন্যে
যখন পুড়ে যাওয়া ওষ্ঠাধর
কাতরতা মেলে রাখছে সাদা শীতকাল অবধি
গন্ধ...
পুড়ে যেতে থাকা তরুক্ষীর যে নিহিত
কোষে বা কলায়, আবরণে মজ্জায়
থেমে যাওয়া বয়সের মুখোমুখি আবারো
পদ্মসম্ভূতা কিছু আলো, উলটো আতরদানি
শ্বাস ফেলে খুলে দিলো জানলা-কপাট
হা হা দুপুরের
ছাতিমফুলের
তবু রৌদ্রতাপিত কোনো ঘ্রান নেই
ঘন হয়ে ওঠা কোনো সন্ধ্যের দুলে ওঠা
সমস্ত ইন্দ্রিয় বন্ধক রাখে
নাসারন্ধ্র অতিক্রমে ধূসরের দিকে
অবিকল হাওয়াবাড়ি, কান্নাপ্রসূত
স্পর্শ...
যোজন অবধি এই আড়াআড়ি বিস্তারে
এতখানি অহংকার
উপশম লিখছে, প্রণয় লিখছে
বৃষ্টিসম্ভাবনার মত অনিশ্চিত
মেঘ নামানোর খেলাছলে
ক্রমশই আঁকশি হয়ে উঠলো
আমাদের বড়ো হয়ে ওঠাগুলো
দৃশ্যের পর দৃশ্য
শুধু স্পৃষ্টস্বরের লাবণ্য
শুধু অসুখ পেরোনো ট্রাফিক
সেইসব আখ্যানের কোনও স্পর্শবিন্দু নেই
অথবা স্পর্শেরও কোনও আখ্যানমালা