একটাই ক্লাউন বসে আছে। যেমনটা বার বার দেখেছি। নাকের ওপরে একটা বড় গোলাপি গোলা। এটা আর্টের ইনস্টলেশান পর্যায়ভুক্ত হতেপারে।
এই লেখাটা যতদূর যাবে, গোলাটা গলতে থাকবে।
লেখা শেষ, গলন শেষ। বিগলনও।
দেখা যাক রিং-মাস্টার কোথায়?
এই যে দর্শকাসন পুরো ভর্তি অথবা শূন্য, টানটান একটা উত্তেজক রোমাঞ্চকর, আধা-শীৎকৃত-শিহরিত পরিবেশ; সেটা মূলত আলো ঘুরে আসার আর সুর বেজে যাওয়ার ক্রমাগত কারসাজি মাত্র।
সবাই দেখবে অথবা, কেউ দেখবে না।
সাইট-অফ-ব্লাইন্ডনেস।
মঞ্চে একটাই ক্লাউন।
ক্লাউনের চারটে টুপি। চারটে রঙের।
যেমনটা সে সকাল থেকে মঞ্চাভ্যাস করছিলঃ
ই-য়ে-স পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা না-না তে দুলবে)
নো-ও পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা হ্যাঁ-হ্যাঁ তে দুলবে)
ই-য়ে-স পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা হ্যাঁ-হ্যাঁ তে দুলবে)
নো-ও পা-পা (বলার সময়ে মাথাটা না-না তে দুলবে)
যে কোন প্রশ্নের চারটে উত্তর। চারটে রঙের যে কোন একটা টুপি তুলে যে কোন একটা বিশেষ দিকে কয়েক পা হেঁটে তাঁবুর কৌণিক শীর্ষদেশে চোখ রেখে ক্লাউন চিৎকার করে উঠবেঃ
ই য়ে স পা পা
সবাই শুনবে অথবা, কেউ শুনবে না।
কানের গোচরগ্রাহ্যতা পেরিয়ে গিয়ে ক্লাউনের শীৎকার আবার ফুটে উঠবেঃ
নো ও ও পা পা
রিং-মাস্টার কোথায়?
প্রশ্নটাই বা কী ছিল?
গলে গলে গোলাপি রঙটা ক্লাউনের ডোরা কাটা জামা-পাজামা বেয়ে পড়ছে। নাকটা খুব লাল আর উজ্জ্বল দেখানোর আগে যেটুকু হিম বসে আছে এখনও, সেটুকুও গলে যাবে।
দিক ফিরে, মুখ ফিরে ক্লাউন আবার চিৎকার করে উঠবেঃ
নো ও ও পা পা
রিং-মাস্টার কেউ ছিল না। কেউ নেই। হতে পারে ওটা সবাই অথবা কেউ-না। চেয়ার বদলে, ডোরা বদলে, জামার বদলে পাজামা আর পাজামার বদলে জামা পরে ফেললে, সবাই অথবা কেউ-না’ই রিং-মাস্টার।
আর প্রশ্নটা?
সবাই অথবা কেউ-না’ই স্থির করে নেবে। দেখবে, যে কোন প্রশ্নের চারটেই উত্তর হয়। বর্ণ ও ইঙ্গিতভেদে চার-ই প্রকার।
তাঁবু ভেঙে পড়ছে। যেন এরই সমর্থনে ক্লাউন শীৎকার করে উঠছেঃ
ই য়ে স পা পা