কবির সম্পর্কে কিছু কথাঃ
জন্মঃ ১০ই জানুয়ারি ১৯৯০,পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে
বড় হয়ে ওঠা বহরমপুরে। কলেজ জীবন কেটেছে কলকাতায়। কবিতাযাপন বেশ কিছুদিনের হলেও কবিতাচর্চা বছর দুয়েকের বেশি নয়। কবিতা লেখা আর বই পড়া ছাড়া বর্তমানে কোনো কাজ নেই... যদিও বেকার শব্দের ব্যাপ্তি আকাশ ছুঁয়ে ফেলে।
যোগাযোগঃ
লালদিঘি হাউজিং (ডি-৪)
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
পশ্চিমবঙ্গ, পিনঃ ৭৪২১০১
মুঠোফোনঃ ৯৬৮১০৪৮৯৯৮ ৯৭৩২১৫৯৯৭৬
দিদিমা
দিদিমা
যার জন্য সারারাত
টয়লেটে আলো জ্বেলে রাখা হয়
আমরা সব যে-যার মতো ঘুমিয়ে পড়ি
মাঝেমাঝে টের পাই,
মাঝরাতে জেগে ওঠা একটা মানুষ
পা ঘষে ঘষে এগিয়ে যাচ্ছে, আলোর দিকে...
ইলাজ
সেই তো এলে, আসার ভঙ্গিটিও অবিকল...
কেন তবে এই রাস্তা, এই সমুদ্র
বালি-বালি করে রাখলে এতদিন
এই মুহূর্তে আমি
কবিতা লিখতে পারছি না
এই মুহূর্তে আমি ইলাজ খুঁজছি
ভাঙনের, সেতু ভেঙে পড়ার
ওপারে দাঁড়িয়ে তুমি হাত তুলেছো
ঘুড়ি ওড়াতে চাইছো প্রাণপণ
আর এদিক থেকে
একটা শববাহী মিছিল
ওদিকে যেতে চাইছে
এই মুহূর্তে চিকিৎসা, শুধু চিকিৎসা খুঁজছি আমি
...সেতুটার উঠে দাঁড়ানো দরকার...
অপরিচয়ের প্রতি
যে তুমি আমাকে গলায় গামছা দিয়ে
নিয়ে যাচ্ছ সূর্যাস্তের দিকে
ফুলেল করছ বিছানাময়
যে তুমি শিশ্নহীন প্রেমের সামনে দাঁড় করিয়ে
কান মুলে দিচ্ছ আমার
এসো জোনাকি, পায়ের নখ
মোলায়েম করে দিই
এসো, ঢুকে যেতে যেতে
আলো জ্বেলে দিই রাস্তাঘাটের
জঙ্গল শুধু বাইরেই নয়
বিচ্ছিন্ন কোনো মৌমাছির নামে
আমাদের যৌথ কামনাবোধ, জড়তা
এসো খরগোশ, গৃহস্থের আনাচে
কানাচে লুটোপুটি খাই
চিঠি লিখি বেগানা কোনো বান্দিসে...
ছাদ
আমাদের কোয়ার্টারে
ছাদে ওঠার কোনো সিঁড়ি নেই
একটা দরজা আছে শুধু
দোতলা আর ওই দরজার মাঝে
লম্বালম্বি, একটা শূন্যস্থান দোল খায়
শূন্যতা বেয়ে
মাঝেমাঝে
ছাদে উঠে রোদ চরাই আমি
রোদেরা, চুল ভালোবাসে
চিরুনি ভালোবাসে
চিরুনির প্রতিটা দাঁতের ফাঁকে
একটা করে ছাদ শুয়ে থাকে
আর
রোদ চরাতে চরাতে, আমি
একটা করে ছাদ পেরিয়ে যাই...
সাবলীল গভীরতায় ডুবে গেলাম ভাই ...
উত্তরমুছুননতুন যারা লিখছেন,তাদের মধ্যে সজল আমার অন্যতম প্রিয়। দিদিমা লেখাটা আমাকে আলাদা ভাবে টানে। সুন্দর হোক আগামী, জীবন হোক কবিতাময়।
উত্তরমুছুনসুন্দর লেখা--বেশ ভাবনাগভীর-- সুখপাঠ্য।
উত্তরমুছুনখুব, খুব ভালো লেখা। মৃদু, অথচ মগ্ন উচ্চারণ। বিশেষ করে, যে লিখতে পারে--"যে তুমি আমাকে গলায় গামছা দিয়ে/ নিয়ে যাচ্ছ সূর্যাস্তের দিকে/ ফুলেল করছ বিছানাময়", কিংবা, "চিরুনির প্রতিটা দাঁতের ফাঁকে
উত্তরমুছুনএকটা করে ছাদ শুয়ে থাকে", তার কাছে পাঠক হিসেবে অনেকখানি প্রত্যাশা রইলো আমার।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন