ত্রিভুজকে আমরা ব্যবহার করি জ্যামিতিতে, পিরামিডে, পাহাড়ে এবং জমাট তীক্ষ্ণ কিছু বোঝানোর জন্য। উল্টানো ত্রিভুজকে তান্ত্রিকরা/শিল্পীরা নারী চিত্রকল্প বোঝাতে আর কখন কখন আধুনিক কবিরা জাঙ্গিয়া বোঝাতেও ব্যবহার করেন। কিন্তু শিল্পী গৌরব রায়ের চেতনার এই উল্টানো ত্রিভুজ আঘাত হানে অস্থিরতা বোঝাতে। বাস্তবে পিরামিড/সিঙ্গারা অথবা পাহাড় সদৃশ্য কোনো বস্তুকে উল্টে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলে স্বভাবতই সেটা কখনোই স্থির রাখা যাবে না, এটাই বর্তমানে পাহাড় নিবাসী শিল্পীর গভীর মনে স্থায়ী আসন গেঁড়েছে। জলরঙে করা "বারুদ-৩" ছবিটিতে দেখি চড়াই সাদৃশ্য নিরীহ পাখি ঠিক সেই আলোচ্য ত্রিভুজের নিচে অবস্থান করেছে। পাখির লেজ থেকে সমান্তরাল কয়েকটি রেখা সেই ত্রিভুজকে ঘিরে রেখেছে আর ত্রিভুজের গায়ে উপস্থিত রেখাগুলি আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পাহাড়ের অস্থির অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। দিনলিপির ঢঙে আঁকা ছবিটি পাহাড়ি অশান্তির মুল্যবান শৈল্পিক দলিল।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন