উড়িষ্যার রঘুরাজপুরের অনামা শিল্পীর তৈরী এই মুখোসটির আদৌ কি প্রয়োজন আছে আমাদের রসিক মহলে ? মামুলি রঙ আর ততোধিক মামুলি জিনিসপত্র দিয়ে প্রায় ছৌ-নাচের মুখোসের পদ্ধতিতে এটি তৈরী করা হচ্ছে গত কয়েকশো বছর ধরে, হয়তো বা কোনো পার্বণে এই প্রয়োজন হয়। দামে সস্তা এই মুখোস এখন শুধুমাত্র প্রয়োজন রসিক সাজতে আগ্রহী ব্যক্তির গৃহসজ্জায়। না নিশ্চয় আছে। লক্ষ বছর ধরে শ্রমিক মৌমাছিরা একই ধরণের উৎকৃষ্ট মৌচাক বানিয়ে আমাদের আমোদিত করে। আধুনিক স্থপিত থেকে সাধারণ মানুষের কৌতুহল এর গঠন কৌশল নিয়ে। ঠিক একই ভাবে বংশ পরম্পরায় তৈরী এই মুখোস আধুনিক শিল্পী ও রসিকদের আনন্দ দেয়। একটু সূত্র দিচ্ছি। হলুদ রঙের এই মুখোসটির চোখ দুটি খেয়াল করুন। দেখুন সাদা জমির উপর গোলাকার কালো দিয়ে চোখ আঁকা হয়েছে। এখানেই শেষ হলে মুখোসটি সাধারণ মানের কাজ বলে মনে হত। লক্ষ করুন সীমারেখা টানা হয়েছে প্রথমে লাল রঙ দিয়ে এবং সর্বশেষে কালো দিয়ে। ফলে একধরণের ওভাল শেপ বা গোলাকার গড়ন অনুভূত হচ্ছে আমাদের মনে। ছায়াতপ বা পাশ্চাত্য শেডিং পদ্ধতি না জেনেও কি অদ্ভুত ভাবে এটিকে সৃষ্টি করেছেন ওই ট্রাডিশনাল শিল্পীরা। আধুনিক যুগে শিল্পী হেনরী মাতিস এবং শিল্পী যামিনী রায় এই ভাবেই দ্বিমাত্রিক টানা রঙ দিয়ে গোলাকার অনুভূতি এনেছেন এবং বর্তমানে গ্রাফিক্স শিল্পীরা একচেটিয়া এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন অ্যানিমেশন এবং অন্যান্য কাজে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন