কামরুল ইসলাম
ডাহুকের রক্তকণ্ঠের বাঁকে, মন গায়
পুরোবেলা হরতালের দিনে
লোকাচারের আড়াল থেকে
তুমি ভাসিয়ে দিয়েছ কুয়াশা-ভেজা পাতার সোনাটা
কথা ছিল ঘোষপাড়ার অন্ধকারে
একদিন ভিটামিন-ডি ছড়িয়ে
তুমি ফিরে আসবে ছাতিম গাছের অন্ধ-পুরনো গান হয়ে
অথচ, লেখা হলো নিভে গেছে ধুলোর রাস্তা
লিরিকের ভ্রাতৃপতিম
ভাষা ও সিম্বল, এক নাবাল কিশোরের
অশ্রুগ্রন্থির চারপাশের কয়েক শ নটিকাল পূর্ণ জলোচ্ছ্বাস
জীবন-ঝলসানো ময়ূরপুচ্ছ সাথে নৃত্যপটিয়শী মাছের মেয়েরা
জলসঙ্গমের তীর ঘেঁসে উড়ে গেছে ওমেগা-থ্রি হযে কতদিন
আমরা বুঝিনি_
এভাবে না বুঝেও কখনো কখনো ডাহুকের রক্তকণ্ঠের বাঁকে
উপবনের গান বাঁধা হয়
মন গায় মৃতপ্রায় বেগুন-পাতাদের লিখে যাওয়া মৌসুম
তোমাদের ঘুম দেখো গাছের ওপারে
তোমরা যখন এক-একটি আমড়া গছের মাথায় ঘুম টাঙিয়ে
ম্যাজিক্যাল ওযান্ড দিয়ে টাচ করো
তখন মিলিয়ে যায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের হাইজেনিক কুশলতা
তোমরা হয়ত মনে কর এ-ই তোমাদের খেয়াঘাট
এখানে পারাপার আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
অত:পর তোমরা ভাবতে থাকো, এ বৃক্ষই জীবন
এখানে মৃত্যুও আছে দোপাটি বিছায়ে
তোমাদের জেগে ওঠা দেখে রঙবাজ লতাপাতাগুলো
সিঁড়ির পাশ থেকে হাড়গোড়ের দিকে সরে যেতে থাকে
আমড়া গাছের মোজেজা তোমরা বুঝে যাও
তোমাদের ঘুমগুলো ভেজা চুলে বেজে ওঠে গাছের ওপারে _
আয়না
বিস্তারিত প্রতিফলনসহ আয়নাটি একদিন সত্যি সত্যিই
হট্টিটিটির পিঠে চড়ে চলে গেল বন্দরের কাজকর্ম ফেলে
ফেশনেবল জানালার দিকে বামপন্থী চলকগুলো
নুয়ে পড়লে
আমাদের আকাশ থেকে নিভে যায় সাত-আটটি ফসলের গান
লাল কাঁকড়ার দৌড় দেখতে দেখতে কত সব কী হয়ে গেল_
সনাতন মৃত্যুর সাথে দেখা হয় প্রতিদিনই
প্রতিটি
অহিংস বিকেলে
অশীতিপর মরঘাটার কাছে সে-ও অটোগ্রাফ চায়।
দহনবাড়ির বীজতলে
কুয়াশা-দগ্ধ সিমেট্রি ---ভার্চুয়াল ললিতকলার পাঠশালে
পুরনো মিছিলের গন্ধ , এদিকে
দ্রোহনীল প্রজাপতিগণ বুঝে গেছে যাকে বলে আউটরেজ, তাই তারা
নিজ নিজ জরায়ুর রোদে
কুড়োতে থাকে ঘাসফড়িংয়ের গান ;
এমনতর আড়াল কিছুটা মাতৃপ্রতিম
বোঝা যায় এসবও পুরনো, পাণ্ডুর,খেয়ো দর্শন
এরি মধ্যে খসে পড়ে রূপক উপমার জামা-জুতো, ঘরের পচা খড়
বানপোকার রক্তভেজা ছায়ারাও
সেইসব দৃশ্যের ভিড়ে আয়নাবাজ নার্সারির মালিক
মরঘাটার কলমদানিতে পুঁতে দেয় তালগাছের ছায়া
রকমারি মাছের ইমেজ
জলের কাগজে তৃষ্ণার মৃদু ঢেউ তুমি জেনে গেছ
রূপকাঠের নৌকোতেও
জল ওঠে কখনো কখনো
ডুবে যায় ঘরামির ফর্দলেখা
দু-একটি হিসেবের
দু-কূল উপচানো চর্চা।
ঢেউয়ের পাণ্ডুলিপি , নদীর বিহঙ্গবেলা একত্রে
হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় বিদ্যাবণিকের ঘরে
আর দ্যাখো ভাষাশূন্য স্যুটকেসখানি আওড়ে যায়
অবারিত ঢেউ
কত সব নদীর কবিতা
রকমারি মাছের
ইমেজে
ঠিকানা: জলমতি গ্রাম
আজ তুমি অশেষ হবে হে মারমা মেয়ে, তুমি ঘুঘুপাখির আধখানা
বাসা কাঁধে লেকের ধারে জেগে থাকা উটপাখির প্রতিবিম্ব ছুঁয়ে
সমস্ত বিকেল কুড়োতে থাকবে হটডগ ছায়াদের মৌসুম
ঘুমের মধ্যে কাঁচভাঙার শব্দে ঘুমিয়ে থাকা মুক্ত ব্রিজের হাওয়ায়
কিংবা ঝিঁঝি পোকার সান্ধ্য অপেরায় তোমার অভিষেক হবে
তোমার কলার বোনে নার্ভাস বৃষ্টিরা কুড়িয়ে আনবে ভেদ-বুদ্ধি-জ্ঞান
তোমার কালো চিবুক গ্রন্থিত হবে মৃৎপাত্রের জঠরে
আজ তুমি অশেষ হবে হে মারমা মেয়ে; তোমার যন্ত্রস্থ ভূগোলের
চৌকোণে
যে শহর কান্নার ভেতরে পাতাবাহারের লুণ্ঠিত যৌবন ধরে জল পান করে
সেখানে দাঁড়িয়ে তুমি সহজ ফিউসনে বুঝে যাবে গলনাঙ্কের আয়ু ও পরিধি
এইভাবে তুমি আয়বুড়ো কনভয়, জ্বলন্ত ভলকেনো পেরিয়ে
পাঠযোগ্য ঘূর্ণন শেষে অন্ধকারে খুঁজে পাবে জলমতি গ্রাম_
কামরুল ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
ইংরেজি বিভাগ
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ,রাজশাহী।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Bah!
উত্তরমুছুন