অমিত দে-র কবিতা
কুয়াশার ভেতরে – ২
আকাশ হয়ে ছড়িয়ে পড়তে চাই,
বিষন্ন বাতাস তোমার কোনো পথ থাকবে না খোলা না রূদ্ধ । মগ্ন বিন্দুর আঁচড়ে আঁচড়ে
ছিঁড়ে যাক এই মঞ্চের পর্দা, আত্মহননের মতো সোজা কথা অভিনয় শেষ করুক । শেষ অঙ্কের
বোঝাপড়ায় প্রতিবার দুলে উঠি । মৃত্যু কখনো কেন কই মাছের মতো জীবিত হয় না । রাতের
কুয়াশা না হয় মৃত্যু হয়ে সিক্ত করে যেত ক্রমশ - টুপটাপ টুপটাপ । অস্তিত্বের রূপবদল – প্রতিরাতে প্রতিরাতে । কতজন ঘন হয়ে
বসবে, বলবে দাতের দাগ বসিয়েছিল কেউ, শিকড় গেঁথেছিল, আলপথ লেগেছিল । সব্জি তুলে
ফেলার পরেও তাজা শুঁকতে গিয়ে পেয়েছিল নুনের গন্ধ । খুঁজেছিল শব্দ, খুঁজেছিল অর্থ ।
দোলনার দোলেও শব্দ হয় – কেউ বসে দুলিয়ে দিলে । মধুমাস পার হয়ে যখন একা দোল খায়,
ক্যালেন্ডারে তখন নিস্তব্ধকাল । এই কালেই বসতভিটেতে উইপোকা ঢিবি বানায় । বদলে
ফেলেছি কবেই গা ঘিনঘিন । নষ্টজন্মে ঘটে যায় আমার অজস্র রকমফের । একটি পাতা
অনিবার্য শুকিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ...
কুয়াশার ভেতরে – ৩
দুপুরে জেগেছে এই কাঁচভাঙা
ঘর । তুমি এখনো বাড়ি হয়ে উঠতে পারলে না । আমি আজও চব্বিশ ঘন্টায় আনন্দ হলাম না –
রাতকে পাহাড়া দেওয়া ঘন জল । উপচে পড়েছিলাম দিনের অতিথি হয়ে । তারপর শুকিয়ে শুকিয়ে
যতটুকু বেঁচে থাকি । তোমার থেকে ধার চেয়ে নিই নীরবতার মানে, কখনো জানতেই পারো না
লোডশেডিং আমার কতটা ভালো লাগে । এই দোষ কাকে দিই ? চোখের নীচে কালি পড়েছে । কেউ
বলে দোষটা চোখের, কেউ বলে ত্বকের । তোমার চোখে তো আমি পাথরের ফুলদানি । রঙ করবে না
বলেই ড্রয়িংরুমে রেখেছিলে । প্রাকৃতিক হতে হতে ধূলো জমে গেল । কত রঙ দেয়ালে
দেয়ালে, কাটাকুটি যোগ বিয়োগ সব চাঁপা পড়ে আছে । আবার তুমি কত যত্নে সাজিয়ে রেখেছো
আমার পুরোনো চপ্পল, ব্যাগ । মাঙ্কি টুপি পরে বেড়িয়েছি সন্ধ্যায়, বলেছিলে জ্বর আসতে
পারে। ভুলে গেছিলে
হয়তো এই সময় বারিশ আর কাউকে ভেজায় না ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
দ্বিতীয়টা ওকে...বারীন ঘোষাল পড়ুন।কবিতা উত্তরণ তবেই
উত্তরমুছুন