লু - ব – ধক্
একদিন বাবা আমাকে
দেখেছিল না কাচা জাঙ্গিয়ার চোখ দিয়ে
একদিন মায়ের প্রেমিককে
আমি দেখেছিলাম বাবার চোখ দিয়ে
একদিন আমি বাবাকে
দেখেছিলাম আমার প্রেমিকের চোখ দিয়ে
তারপর আমার
প্রেমিক আমাকে দেখেছিল... যেভাবে বাবা দেখত আমায়
এসব ঘটনার পরই
আমি লু হয়ে গেছি
আমি শীতের শহরে
ম্যাপেল পাতা খুঁজতে যাই নদী সেজে
আলিঙ্গনের
পরে আমার নাম বলি ‘লু--’
আমি একদিন জেনে
যাব কলকাতা কোন শহরের নাম নয়,
ব-দ্বীপের নাম
আমি একদিন জেনে
যাব ‘ধক’ কোন ভয়ের শব্দ নয়
হৃদয়ের শব্দ
আমি একদিন জেনে
যাব ম্যাপেল কোন পাতার পদবি নয়
ভালবাসার পদবি
এসব আমি বুঝে যাই
---
রাজা যখন আমাকে ‘লুব্ধক—‘ বলে ডাকে ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
bah
উত্তরমুছুনDurdanto )---অসিত ঘোষ
উত্তরমুছুন"একদিন বাবা আমাকে দেখেছিল না কাচা জাঙ্গিয়ার চোখ দিয়ে"
উত্তরমুছুন১) জাঙ্গিয়ার বিশেষণ হিসেবে "না-কাচা" কে ব্যবহার করার ফলে অত্যধিক নিম্নমানের কোনো বস্তুকে বোঝানো হয়েছে কি ?
২) একে তো জাঙ্গিয়া - তার ওপর "না -কাচা" মানে এখানে রেঞ্জ ( Range) টা বোঝানো হচ্ছে ? তুংগবিন্দু তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যাপারটিকে ? তাহলে আমি একান্ত ব্যক্তিগত মত দেবো যে কতদিনের "না-কাচা" সেটা উল্লেখ করে দিলে রেঞ্জ আরো বেড়ে যাবে - চরমতম হবে
৩) যদি কন্ট্রাস্টের জন্য ব্যবহার করা হয় "জাঙ্গিয়া" শব্দটি তাহলে আপাতবিরোধী দুটি শব্দকে পাশাপাশি বসালে আরো ভালো হয়
"'একদিন বাবা আমাকে দেখেছিল ধবধবে(টকটকে/কুচকুচে নয়) জাঙ্গিয়ার চোখ দিয়ে - '''
কিম্বা, '''একদিন বাবা আমাকে দেখেছিল না -কাচা ত্রিভুজের চোখ দিয়ে '''
৪) আমরা যখন কোনো একটা ঘটনাকে দেখাই তখন মূলত দু’ভাবে দেখানো যায়
ক) ঘটনাটি ঘটছে (যেমন বাংলাবই এর নায়ক দেব কে কিছু গুণ্ডা মাথায় পাথর ঠুকে দিচ্ছে এটুকু দেখালে তার কনসিকোয়েন্স গুলো আমরা বুঝে নিতে পারি, যে দেবের মাথা দিয়ে এর পরে রক্ত বেরোবে কিম্বা হস্পিটালে নিয়ে যাওয়া হবে এবং দেব বদলা নেবে)
আবার হুবহু ঘটনাটিকেই এভাবেও দেখানো যায়
খ) ঘটনাটির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বোঝানো যে ঘটনাটি ঘটেছে (তৃতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে দেবের মাথায় গাঢ করে ব্যাণ্ডেজ বাঁধা অর্থাৎ নিশ্চয় গুণ্ডারা তাকে ইতোপূর্বে কেলিয়ে গেছে – বোঝাই যাচ্ছে)
আমার কথা হোলো ‘ভালোমানুষ’ কে সরাসরি ‘ভালোমানুষ’ বলে যেমন চেনানো যায় সেরকমই ভালোমানুষের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরলেও পরিষ্কার হয়ে যায় ইনি ‘ভালোমানুষ’ [ ‘ভালো’-র সংজ্ঞা আমার ‘গ্যাংব্যাং’ নামক ধারাবাহিক একটি লেখায় আছে] ! সুতরাং জাঙ্গিয়াকে ‘জাঙ্গিয়া’ও বলা যায় আবার ‘জাঙ্গিয়া’র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যেমনঃ জাঙ্গিয়ার আকৃতি , জাঙ্গিয়ার প্রকৃতি , ইলাস্টিসিটি ইত্যাদি তুলেও বোঝানো যায় ব্যাপারটি জাঙ্গিয়া – প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে দেখানোর কৌশল এভাবেই একটি ‘পাতিদেখা’ কে দর্শন করে দেয় ! এখন কবিস্বাধীনতা একটা বড়ো ব্যাপার ; কবি হওয়া যতটা সহজ তার চেও বেশী সহজ পোয়েটিক লাই এবং সেন্স- কে জড়ো করা ... সেদিক থেকে এই বর্তমান কবির সমস্ত স্বাধীনতাকে সম্মান দিয়েই বলছি বর্তমান কবিতায় “না-কাচা জাঙ্গিয়ার” জায়গাটিতে মনন এবং চিন্তনের গভীরতম স্পেস রয়েছে ! ভাবা যায় !
“লু’-‘ব’-‘ধক্” এর ব্যবহার প্রাচীন হলেও নতুন ভাবে আবিষ্কার করে ভালো লাগলো ;
কবিতাটি রি-এডিট করলাম:
একদিন বাবা আমাকে দেখেছিল না-কাচা ত্রিভুজের চোখ দিয়ে
একদিন মায়ের প্রেমিককে আমি দেখেছিলাম বাবার চোখ দিয়ে
একদিন আমি বাবাকে দেখেছিলাম আমার প্রেমিকের চোখ দিয়ে
তারপর আমার প্রেমিক আমাকে দেখেছিল... যেভাবে বাবা দেখত আমায়
এসব ঘটনার পরই আমি লু হয়ে গেছি
আমি শীতের শহরে ম্যাপেল পাতা খুঁজতে যাই নদী সেজে
আলিঙ্গনের পরে আমার নাম বলি ‘লু--’
আমি একদিন জেনে যাব কলকাতা কোন শহরের নাম নয়,
ব-দ্বীপের নাম
আমি একদিন জেনে যাব ‘ধক’ কোন ভয়ের শব্দ নয়
হৃদয়ের শব্দ
আমি একদিন জেনে যাব ম্যাপেল কোন পাতার পদবি নয়
ভালবাসার পদবি
এসব আমি বুঝে যাই ---
রাজা যখন আমাকে ‘লুব্ধক—‘ বলে ডাকে ।
চাইবো কবিও রি-রি-এডিট করুন ...
motamot jnan...prosno korun...uttor din.... kintu kono onumoti chhara re-edit korar protibaad janacchi. ami punorae ei site ti na khulle to jantei partamna je amake na janiei lekhatike re -edit kore felchhe keu r sobai chup kore achhe.
মুছুন