হাসান রোবায়েতের
কবিতা
শরীর
এইখানে বোসো
এই ছায়াবন্ধ্যা শরীরের কাছে
যেভাবে আলজিভ রপ্ত করছে হাওয়া
মানুষের মুখের দিকে তাকালেই
ভেসে ওঠে দুধের তারিখ
মৃত জামগাছ
যে ফুল মেহেদি-পাখির কাছে
শুনেছিল রঙ সে ও জানে , অন্ধেরা চিঠি বিলি ক’রে
ফিরে যায় রাতের ট্রেনে ;
তখন ডান্সরত পরাগের সাথে কথা বলে কয়েনের বাঘ
উড়ে যায় শাপলার ছায়া প্যারালার বিভ্রমে
কাঁটা
ফুলের দূরত্বে দাঁড়িয়ে
কারা যেন চাষ করে তুলোবন
বয়ঃসন্ধির দিনে আঁকা-বাগানের মাঝে।
সেইসব কুমিরপ্রবণ হাওয়া
ডুবে গেছে দুধকুশি-তারাদের সাথে
তুষার ও তাবুর নিচে চলে গেলো হিজড়েরা
পরিত্রাণহীন, একটি ত্রিভুজের খোঁজে। যে কাঁটা
ফুলেরও অধিক ঘ্রাণে
মিশে যায় বহুদূর শামুকের খোলে
মানুষ
হে আমার বুভুক্ষু ট্রাপিজিয়াম
শ্বাস নাও
যে পাখি শব্দ খুঁটে খুঁটে খেয়ে গেছে সূর্যাস্ত-বিকেল
এই বৃত্তাকার জুনে
সেইসব রেণুর দিকে তার উড়ে যায় ডানা
প্রশ্ন উল্টে দ্যাখো, পাপড়ি ও পরাবৃত্তের মাঝে
একটি স্ফিংস যেন স্তন যেন গোলাকার মিথ্যেবাদী
ছুড়ে দেয় দৈবচয়ন
মানুষের উল্লাস মূলত এক পাখির আওয়াজ
কেঁপে কেঁপে চলে যায় সমুদ্র-শহরের দিকে
নাম
ত্রিমুখ গল্পের পাশে ঠেলে দাও হাতজামা
যেখানে এলাচ ফুলেরা প্রতিদিন
বদল করছে সেক্স।তারাদের কিছু নিচে
শীত নেমে এলে একটি জারুল ফোটে
মৃদু অন্ধকারে
তোমার নামের রঙ কী হতে পারে ?
যেখানে বিষন্ন তাস নেমে আসে বিস্মৃতি-পাহাড়ের থেকে
তারপর ঘুরে ঘুরে
অজস্র বালির দিকে ডেকে নেয় সেই মাছ
যার নাম ক্ষয়ে গেছে জলের আঘাতে
সমগ্র নীল ফুল সত্যি কি নীল ?
অথবা যে জবা নিভে যায় পুষ্পরহিত দিনে ?
নাম, যেন এক ভেক্টর বিধি পাথর উল্টোলেই চলে যাবে জল
ব্রীজের সমান দূরে
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
আপনার কবিতা সবদিন অনুপম
উত্তরমুছুন