বাঈজীভ্রমণ
অধীনস্থ আমি তার ঝুমুরগানে, তারা খসে পড়ে পায়ের নিকট, শৈশবের আঁকার খাতা হতে আকাশ নেমে আসে মেঝেমার্বেল নকশায়।
মিনারে মিনারে কলধ্বনি করে পায়রা, আমার কি এখানে তুমুল প্রকার বেঁচে থাকা গচ্ছিত ছিল!
গানে নয় এই আগুনসম্ভব জেগে ওঠা ভ্রুকুটি দিকে দিকে রতিক্ষয় সুরবিদ্ধ করে, তাশের রাজা গুনগুন করে হাওয়াচুমু ছুড়ে দিচ্ছে রমণস্বভাবে।
স্বপ্ন জুড়ে ক্যাসিনো রয়্যাল, হাতমোজা আর চাকুর শানানো ধার। আজই তার বন্দোবস্তে পিকআপ ভ্যানে মড়া পোড়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া যাক, জগের ভেতর তালমিস্ত্রির মত নাড়চাড় করে সব রস ছেঁকে রেখে দেই।
হ্যাঁ রে মাছ, বুদবুদ নিয়ে স্বপ্নের ভেতর কি করে খেলিস বরফ পানি, ছুঁয়ে দিলেই বরফ!
ভিক্ষাপাত্রে চ্যাপ্টা আলো নিয়ে ঝনঝন করে সূর্যেরা পদাতিক
কাঁকের পশমে বাস্তুঘুঘুর রক্ত প্রকাশ্যে ডাকে মৃত্যুর কারুকাজ। মেঘের গলায় কাচের বাসনে স্তুপীকৃত ফলের বিষাদে তেজোময় বিস্তারে ধূমপান অধিকৃত আজ।
দস্তখত ঘুনে খেয়ে নেয়া দলিলে রেখেছো ফয়সালা। কপালের ঘাম ঝরে যেতে দিই?
পাথরের ভ্রুণে দেখেছি হন্তারক পিতার রক্ত, রোদ নেমে যাক, অনেকদিন পায়ে কোনও জলছোঁয়া নেই, শিশু উদ্যানগুলি পরিখার চেহারা পাওয়ামাত্র ছোট ছোট পটকায় পাড়া মহল্লা সয়লাব হয়, রোদের তাপে বুঝি ক্রোধের সরিষা টগবগ করে।
হ্যাট পরা মানুষেরা কই কই থেকে এসে গোঁফে তা দিতে দিতে দেখে সোহরাওয়ার্দি পার্কে ভ্যানিটি ব্যাগের দৌরাত্ম্য ছাতিমের বেড়ে ওঠা অব্দি বুকের পশমে ভরে যেতে থাকে।
শজিমেক, বগুড়া
২৬।০১।১৪।
রাত ৯টা ৩৩
কাশিজমা বুকের মতো মনে হয় নিজের ভিটেমাটিকে, হাত ঘেমে ওঠে চুপচাপ, তেজপাতা সরসর মাড়িয়ে পোষা বেড়াল মাটি ঘাস তাবুর বিকেল বিষাদে গাঁথে, কবন্ধ সাপের রক্তে গাঢ়তর অন্ধকার চুইয়ে নামে ঝাউ বাগানের ঘাড়!
ঠিকানার অলীক আলোয় মাঠ ভরে যেতে দেখি খাসকামরার মেধাবী ঘূণে, কাকে যেন প্রতিশ্রুত পোশাকে চড়িয়ে ঝরা পাতার গৌরব নিয়ে পথে পড়ে থাকে বিহ্বল ইতিহাস, এইখানে পদাতিক ঘোড়ার আওয়াজ, এই সেই কুয়ার অতল, ঝাঁসির রাণীর উদ্ধত গ্রীবা-
নত হও নিরাময়, প্রতিশ্রুতির ওপারে তোমার ধানকল আছে, কুয়াশায় ভেজা ঘাসেরা আছে
পাতার ওপর ভিজছে পাতা পানের বরজ!
রাত ৯ টা ৫০
বগুড়া, ২৮/১২/১৩
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন