এ
মাসের কবি – জুলাই ২০১৪ – ইন্দ্রনীল ঘোষ
জুলাই। জুলাইওয়ালা ইন্দ্রনীল ঘোষ এবার এ
মাসের কবি। শূন্য দশকের অন্যতম সেরা কবি ইন্দ্রনীলের জন্ম ১৯৭৯ সালে। জুলাইওয়ালা
অবশ্য ইন্দ্রনীলের কবিতার দ্বিতীয় বই। তার প্রথম বই রাত্রে ডেকো না, প্লিজ প্রকাশিত
হয় নতুন কবিতা প্রকাশনী থেকে ২০০৫ সালে। চার বছর বাদে আসে জুলাইওয়ালা। ২০১২
সালে বৈখরী ভাষ্য থেকে প্রকাশিত হয় ইন্দ্রনীলের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ লোকটা পাখি
ওড়া নিয়ে বলছে । কবিতার পাশাপাশি গদ্য আর গল্পের হাতও ছুঁয়ে যায় অনেক
ম্যাগাজিন-ওয়েবজিন-ব্লগজিন। বাক-এ দীর্ঘদিন ধরে
প্রকাশিত ধারাবাহিক উপন্যাস সার্চ করছেন, দেবাঞ্জন অনেকেই পড়েছেন। এছাড়া ভালবেসে
অনেক বই আর পত্রিকার প্রচ্ছদ। আজকাল জামশেদপুরনিবাসী ইন্দ্র বৈখরীভাষ্য
পত্রিকার সম্পাদনার সাথে ওতপ্রোত।
ইন্দ্রনীল
ঘোষের কবিতা
আমরা
একটা
বালিশ ছুঁয়ে ঘুমোচ্ছি
তুলোর
আমেন ওড়া দেশ
ধু-ধু
সফেদ
একটা
ঘুমের নিশানায়
রঙ
বড় হতে হতে সিগ্রেট ধরালো
তারপর
কথা
তারপর, উড়তে থাকা ফ্রিজ শট হয়ে যাচ্ছে সাদায়
আমি
ঘুমোচ্ছি
তুমি
ভাবছো, বরফ...
মাছ
ওপারে
সীমান্ত।
যখন
উমরাও তার নাচের আঙুলগুলো খোলে
ধোয়। শুকোতে
দ্যায় আলোয়।
যেন
গান থাকলেই, রেডিও থাকবে কোথাও
এই
চুরি ধাওয়া হতে হতে, কখন আমি হয়ে গেছি
এঁটো
দ্রাঘিমার কাছে, ঘেঁটে ফেলেছি সূর্য
আঙুলে
আঁশের গন্ধ –
মাছ
চালান হচ্ছে বর্ডারে
ফিলামেন্ট
ইলেকট্রিক
শকে স্থির হয়ে গেল শাহেনশা
সন্ধেয়, মুসাফির ব্লেড কাঁপছে
আতরদানির
গন্ধগুলো কাঁপছে
এরপর
বাল্ব জ্বলবে আমাদের পাড়ায়
ফিলামেন্ট
আলোর
কলোনি বোনা দেখে
আমরা
খেলবো বিদেশি সেই খেলা –
শাহেনশা
ছিলো
শাহেনশা
ছিলো না কখনও
নাচ
একটা
ফুটপ্রিন্ট পুষি
আমার
মতো দেখতে
রাগ
হলে, যার ওপর নৌকো উলটে
দেওয়া যায়
রঙের
ছাল ফেটে বেরিয়ে পড়ে দূরদেশের বন্যা
লম্বা
লম্বা নদীর ছায়ায়, সূর্য ডুবছে
ডুবছে, কারণ আমরা পাখি অবদি পৌঁছবো
ডুবতে
থাকার দৃশ্যে, ঢেউয়ের ক্লাইম্যাক্স
ছাড়িয়ে উঠবে পাখি...
ভাঙা
ঠোঁটে, টুকরো টুকরো
স্বরগ্রামে
সমস্ত
জলের ফোঁটা বেরিয়ে পড়েছে
তারা
প্লেন দেখবে
দেখবে, মেঘ থেকে মেঘে পৃথিবীর চিঠিগুলো নাচছে
আঙুল
নড়ছে ফুটপ্রিন্টে...
কফি
কফিকাপ, তাকে আদরণীয় ডাকো...
নিছক
চলকে পড়া চিনির ভিখিরি
পিঁপড়ে
সাব্যস্ত হলে
ছোট
ছোট রঙগুলো, শীতকালের খাবার জমায়
কফিকাপ, ধীরে ডাকো –
চুমুক
শুনতে পাচ্ছে সে...
তুষার
মেঘ
নয়, ভাবো, এক
আইসক্রিম
হয়েছে আকাশের
আমাদের
দুঃখ থেকে লাফিয়ে
বাচ্চারা
জিভ দিচ্ছে
বরফ
হয়ে যাওয়া মিঠেতে
লালার
মধ্যে জড়িয়ে গেছে
আলো
জ্বালার মুহূর্ত...
জিভের
আর্দ্রতায়
দেশলাই
কারখানার সেই গন্ধ মনে এলো –
তুমি
যখন মিউজিকের,
জ্বরের
আওয়াজ শুনছি, তুষারযুগ চালিয়ে
ক্রিম
লোকটায়
ক্রিম লেগেছে
যখন-তখন
ডায়াল হচ্ছে গন্ধ
এ’ অপরাধ, ও’ ফুল
আর
ওই দিকে, বৌটার খুলে রাখা যোনি
রক্ত
আছে। কিন্তু তার রঙ আসছে ট্রাংকলে
পতাকা
আছে। তারা জানতে চাইছে স্বাধীনতার ডেট
লোকটা
একটা কল করছে মানুষকে
রিংটোনে
বেজে যাচ্ছে মানুষ
ফাঁদ
আরও
কেউ এরপর
গুহা
ও আগুন নিয়ে
লিখতে
আসে তুষার কাহিনী
ফাঁদের
গান
তারা
রাত খুলে দিয়ে শোনে...
রেডিও
থেকে বেরিয়ে আসে বাঘ
তার
নখ, চাঁদের বয়সী ঠাণ্ডা...
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কয়েকটা সত্যিই অসাধারণ
উত্তরমুছুনপ্রতিটি মনে গেথে যাওয়া লেখা ,
উত্তরমুছুনভালো লাগলো ।