ক্রিতিকা কামরার ইন্টার্ভিউ
ক্রিতিকা কামরার ইন্টার্ভিউ
ক্রিতিক কামরা আর আমার
মধ্যে কিছু মিল আছে।
আমরা ভোগসুখের ঢেউ ভাঙতে
ভালোবাসি...,
ভালোবাসি...চেরিরঙে
জন্মাতে, ছেঁড়া মেঘে মেঘে
চুপকে-ছুপকে
দুষ্টুমি।...
... কবিতা আমার আর ক্রিতিকার মাথায় ঢোকে না
কোনদিন।
ক্রিতিকার ইন্টার্ভিউ
নেওয়ার মজাই আলাদা—
আমি প্রশ্ন করি চোখবুজে
ক্রিতিকাও মাখনে চালায় ছুরি !
__ কমিটমেন্ট ফোবিয়া নেই
__ ওয়াইল্ড আ্যন্ড ডেয়ারিং
__ বর্তমান বয়ফ্রেন্ড কুন্দ্রা
__ ভোরবেলায় ওঠা না-পসন্দ...
র পিড রাউন্ডেও ক্রিতিকা আনডাউটলি সুপার্ব
অ্যান্ড সাইনিং পারফেক্ট !
প্রঃ তোমার হাইট কত ?
উঃ এক এক হীলে এক-এক রকম
প্রঃ তুমি
সাঁতার জানো ?
উঃ সব জলে না
প্রঃ মুরগী না ডিম ?
উঃ চিকেন বিরিয়ানি উইথ অ্যান এগ
প্রঃ তোমার সৌন্দর্যের রহস্য কী ?
উঃ মাই বিউটিশিয়ান (হি হি হি...)
(চলবে...)
জিপসি টাচ্
তোমার ভোগলিপ্সা তোমার
যোগভোক্তি
তোমার কিচেনগার্ডেনে
বোবা-কুকুরের স্তব্ধতা
তোমার দৌড়বাজ মন তোমার
আকাশউঁচু বাসনা
ঢুকে পড়ো যখন-তখন স্বপ্নে আমার
তুষারে লুটোপুটি খাও
খুব
লোফালোফি করো , ছুঁড়ে
মারো তুষারের বল
আমার স্বপ্নের ভেতর
তুমিই শেষ কথা
আর আমি ভীষণ অরক্ষিত-,
আর তাই ফিরে আসি কল্পনায়
, জাগরণে...
এখানে তোমার জাড়িজুড়ি
খাটেনা
তোমাকে যেমন বাজাই তুমি
বাজতে থাকো
যতই গৎ বেঁধে বাজাই না
কেনো
শেষমেষে বড্ড একঘেয়ে
তোমার কষ্ট...,
আমি জানি
তাই
তখন হাইফেৎজের মত
বাজাই-
হঠাৎ
সেই
জিপসি টাচ্
আর
প্রতিবার
দেখি
তুমি
হেসে
হেসে
ওঠো
তোমার
ভালো লাগে
তাহলে
আচ্ছা
তুমি
নিশ্চই
বোঝো
এই
খেলা
নিয়ম
বেনিয়ম
গুলো
আমার
রসাভাস
কুহকী
কায়দা আর কূরঙ্গ যত...!
পারমিতাকে ডাকছিলাম
পারমিতাকে বলিনি,
স্বপ্নাবস্থায় কতবার ডেকেছি—পারমিতা... পারমিতা...আমার গলা অকল্পনীয়ভাবে লম্বা হয়ে
যাচ্ছিল আর এত লম্বা দু-দুটো বোয়িং জেটের গতিপথকে অবস্ট্রাক্ট করে, আমার কিছুই
করার ছিল না শুধু ভয়ংকর কে প্রত্যক্ষ করা ছারা,কিন্তু পাইলটরা দক্ষতার পরিচয়
দিয়েছিল, জরুরী অবতরণ ছারা আর কোনও পথ ছিল না আর সে ব্যপারটাও বেশ সহজ ছিলো না
কুয়াশার কারনে , সামান্য সময়ের মধ্যেই আমার গলাটা ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল নিউজ
হয়ে গেলো!রাষ্ট্রোনায়কদের মধ্যে হট লাইনে কথা চালাচালি হতে লাগলো,আমি শুধু পারমিতাকে ডাকছিলাম পা র মি তা...পা র মি তা...রাষ্ট্রসংঘ বেবাক হয়ে গিয়েছিলো আর আমার ছেলেটা কাঁদছিল,ভারতবর্ষ কে
বেইজ্জত হতে হচ্ছিল- আপনাদের স্যাটেলাইট কি ঘুমোচ্ছিলো... ভারতবর্ষের রাষ্ট্রনায়ক
ধরা ধরা গলায় জানালো-এটা আর কোন একটা দেশের সমস্যা নয়,সকলে মিলেই এর মোকাবিলা করতে
হবে, আমেরিকা বললো – তাহলে মিসাইল অ্যাটাক,অমনি যে যে দেশের উপর গলাংশ পড়তে পারে
তারা বেঁকে বসলো, ভারতবর্ষ বললো—আমাদের ছিলো বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র কিন্তু তার
টেকনোলজি আমাদের কাছে আর নেই, সব কিছু এত দ্রুত ঘটছিলো যে কোনটা কখন কিভাবে কিছুই
স্থির করা যাচ্ছিল না,এদিকে আমার এই আশ্চর্য গলার ছায়া যে যে মহাদেশের দেশ গুলোর
উপর পড়েছিলো বা আগামিতে আর কোথায় কোথায় পড়তে পারে তা নিয়ে নানা দেশের জনমানসে
তীব্র পতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছিল, আসলে ঘটনাটা এতই অদ্ভুত এতই কৌতুহল উদ্রেককারী এবং
হতভম্ব করে দিয়েছিলো নিউস মিডিয়াগুলোও নিজেদের কর্তব্য স্থির করে উঠতে পারে নি,
কাতারে কাতারে ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষ ঈশ্বরের দন্ড মনে করে নিজেদের দুষছিলো আর রোদন
করছিলো, পৃথিবীর ধংস নিয়ে একটা চাপা উত্তেজনা ক্রমশ ফেটে পড়ছিলো, পুলিশ
প্যারামিলেটারি মিলেটারি হিমসিম খেতে খেতে অসহায় হয়ে পড়ছিলো, রাষ্ট্রনায়করা একজোটে
চিৎকার করে উঠছিলো- Kill him… ! কিন্তু চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে
ভয় পাচ্ছিল, আমি সম্পূর্ন বিদ্ধস্ত হয়েই কাতর গলায় আবার ডাকলাম—পা র মি তা... পা র মি তা...,অত উঁচু থেকে কী
আর কিছু শোনা অথবা বোঝা যায়!
স্মৃতির ঢাকনা খুলে
স্মৃতির ঢাকনা খুলে হৈ
হৈ করে বেরিয়ে এলো
ঢেউ কিছুটা ফ্যানা রেখে ছুটে চলে যাচ্ছে
এদিকে কি একটা পোকার উলটে যাওয়া
দেখে
ঝুঁকে দেখলাম মুখের খানিকটা খসে পড়ে আছে
বহু চেষ্টায় রাস্তার
ঢালুতে গড়িয়ে গিয়ে পড়লাম
যেখানে ফাটা নলটা থেকে
ঝরে পড়ছে
ঝরে পড়ছে
ঝরে পড়ছে
হাঁচড়ে-পাঁচড়ে -জাপটে নিজেকে খুঁজে পেতে গিয়ে
ততক্ষণে গোঁত্তা খেয়ে
মুখটাই তুবড়ে গেছে...
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন