রূপান্তরের ভাষ্য
১
মাথা নামিয়ে আনছি আর পায়ের তলার অংশে জমে উঠছে রঙ আমার বলার শব্দ নিশি ধরণের জাগা বা উচ্ছন্ন নিয়ে বলার লোক নেই ভাবি অথচ এই এই চলা বা না চলার মধ্যে যেভাবে হাতে জমে উঠেছে প্যাকেট আমার ভয় আমার ক্রমাগত না বলা জমে একটা শীর্ণ কাগজ তৈরি হচ্ছে অক্ষর জমাট বাঁধা অথচ আমার বিশ্বাস লিখে
রাখা যাচ্ছে না আমি শুধু বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাইছি এই চৈত্র বা মাছরাঙা আকাশ নয় বরং সঙ ও চড়কের কথা বল এই মন্দির
গন্ধের ভাষাটায় মৃত শব্দটির কোনও না ধর্ম পরিভাষা নেই কী ডাকে তোমার সঙ্গে বেরোব ভাবি
এই ধুলো কাচপ্রবণ বাক্যবিন্যাসে শুধু প্রচলন আমার নিয়মের দাসখত দেওয়া রাস্তা তোমাকে
কি টানবে? শুধু লোক যাচ্ছে কেবলই ধুলো গুঁড়ো হয়ে থাকা কোনও মৃত কবির জন্মদিন মিশে থাকছে
ঠোঁট নাড়ছি আসলে কোনও কাল নেই কোনও আজ বা বিগত নেই এই ন্যাড়া থেমে থাকার গায়ে একটা
কমলা বেড়াল ক্রমাগত ঝরাপাতায় হারিয়ে যাচ্ছে
২
একটা দীর্ঘ বাগানের কথা ভাবি
শান্ত গ্রীষ্মমণ্ডলের গায়ে দুপুরের শরীরে মেলে দেওয়া
কথা জমছে, অথচ সর্বস্ব গিলে নিচ্ছে গান
ধীর পায়ে যে এল আচমকা সে কি নদী দেখল?
মেঘ বা অন্যান্য স্লেট নয় একটা তিরতির শব্দ তাকে বিঁধে
রাখল
ফ্যাকাশে হয়ে আসা হলুদে
আর কেউ নেই শুধু কয়েকটা ব্যবহৃত রাস্তা
দুপুর আসলে একটা গান শোষা মাটি
আমার মাথা নামানোই থাকছে
প্রতিটা গুঁড়িতে কাপড় জড়ানো হয়েছে
রঙজ্বলা সুতো ছিঁড়ে আসা
৩
ধরো আমি সরে যাচ্ছি আমার ক্রমশ সরু হয়ে আসা কল্পনারেখা থেকে
এই হা হা রাস্তার গায়ে ধীর এক স্তম্ভ দুপুর তার ঝলস ও ভিক্ষুক
হাঁ মুখ হয়ে উঠতে চাইছে সময়ের প্রচলিত
জ্ঞান
অথচ আমি অংশ নিচ্ছি না
পা থেকে গলা অব্দি একটা আবরণ
ঘোলাটে গিলে নিয়েছে শ্বাস
শুধু একটা সিদ্ধান্তহীনতা লিখতে চাইছি
কখন চলন স্পষ্ট ছিল? ভাবি
যেভাবে ন্যাড়া জলের গায়ে মাছরাঙা বাদামি
ক্রমশ ভাঙা বোতলের সবুজে বেড়ে উঠেছে মাটি
সেভাবেই কি ঢেকে গেছে পায়ে চলা?
আর কোনও ফেরা বাকি নেই?
৪
সামনে শুধু বিকেল নামক একটা গোলক
কিছু সবুজ কাগজ খুব নীচু দিয়ে ওড়ার সময়
বিক্ষিপ্ত
ছায়া রেখে গেল
আসলে শরীর যেভাবে বেড়ে উঠেছে তা বন্ধু পাবে না
যেভাবে ঘাসের গায়ে চামড়া রেখে বলেছি আহ ঠান্ডা
সেভাবে কিছু কথা স্বাভাবিক রেখে দিতে চাইছি মাটির খয়েরিতে
পুরনো ভাঙা বাসন ফেলে দিয়ে যেভাবে অপেক্ষা করছি পতঙ্গহীন
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন