এক
সকালের পত্রাঘাত
মিতিয়া মিতিয়া।
তোমার চোখের ভাঁজে নক্ষত্রের শ্বাস।
পাখনা কেটে কেটে ময়ূরীকা।
উনোনে ককরোচ।
তদীয় পত্রযোগে সকালের দূরাভাষ।
উরুক্কু মাছ এক জল কেটে কেটে।
অগ্নি সমুদ্রে।
তুমিও দেখছ এপারটা।
ওপারে জয়তুন ফল।
নঞর্থক মেটাবলিজম।
নিঃশব্দে চলে যাওয়া
(ত্রিপুরা রাজকে)
১.
বৃষ্টি পড়ছে সবুজপত্রে
ভোরের আলো
অকস্মাৎ মাধবীর জেগে ওঠা
তোমরা তাকে যে নামেই ডাকো
হরিদ্রাভ, পীতাভ, ব্যালেরিনা
গাড়ি বারান্দায় একটা কালো গুঁইসাপ সরসর চলে যাচ্ছে
তুমিও নিঃশব্দে
বেলেকান্দায় তোমার পাশের গ্রামেই হারিশ শেখ
এখান থেকে ওখানে যেতে
কয়েক যুগ
সিভিল ড্রেসে পলাতক যোদ্ধারা
লেফট-রাইট করতে করতে
নিঃশব্দে চলে যাওয়া
তুমিও...
২.
কথা বলতে বলতে
চোখ বুজে এলো
একগুচ্ছ করবীর স্মৃতি
কপালে ম্যাজেন্টা সিঁদুর
বুকের ভেতর বৃষ্টি নামে নৌকা টলোমলো
কথা বলতে বলতেই চলে যাওয়া
কিছু বুঝে ওঠার আগেই
সমুদ্রতীরে একটা লাশবাহী জাহাজ
খুব নিঃশব্দে চলে গেলে
বাতাস জানল না
তুমিও...
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন