প্রবীর রায়ের কবিতা
সোনামন
বলতে বলতেই হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কবেকার মর্মরধ্বনি
সহজ আসাযাওয়া সেই যে পুরনো হয়ে গেল
ফেরার ইচ্ছেটা সামনের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে বারবার
অনেকক্ষণ বসে থাকার পর তোমার দুটো হাতল ধরে উঠে দাঁড়ালাম
পুরনোর ওপরেই
নতুনের ওপরেই
ভয় ও ভাবনা
আমগাছটাকে ঘিরে রেখেছে গ্রীষ্মকাল
সবুজ ফলের বোঁটাকে অনিশ্চিত দুলিয়ে হাওয়া দেখাচ্ছে
এর নীচ দিয়ে হেঁটে গিয়েছিল শঙ্করী এঁটোবাসনগুলোর দিকে
গান বাজে ওই কুয়োতলাই বাজায়
এরপর আরও কী কী হতে পারে
আমগাছটাকে ঘিরে রেখেছে গ্রীষ্মকাল
সবুজ ফলের বোঁটাকে অনিশ্চিত দুলিয়ে হাওয়া দেখাচ্ছে
এর নীচ দিয়ে হেঁটে গিয়েছিল শঙ্করী এঁটোবাসনগুলোর দিকে
গান বাজে ওই কুয়োতলাই বাজায়
এরপর আরও কী কী হতে পারে
গড্ডালিকা
অনেক আদরমাখা থাবার শাসন হাত বুলোচ্ছে
সংকুচিত হয়ে আসা পথকে সারাই দিচ্ছে এবং উজ্জ্বল পালিশ
পতাকার চিহ্নতো তার কথাই বলে বহন করার জন্য পীড়াদায়ক লাঠি
আমরাই বয়ে আনি আমাদের ক্ষীণ জয়ধ্বনি
অনেক আদরমাখা থাবার শাসন হাত বুলোচ্ছে
সংকুচিত হয়ে আসা পথকে সারাই দিচ্ছে এবং উজ্জ্বল পালিশ
পতাকার চিহ্নতো তার কথাই বলে বহন করার জন্য পীড়াদায়ক লাঠি
আমরাই বয়ে আনি আমাদের ক্ষীণ জয়ধ্বনি
অস্থির
অনবরত কান্না শব্দ আর জলবিন্দুহীন হাসির কথাই বলছি
শীতলতার জন্য দিঘী সেখানেও পাথর ভাসছে
বদলে যাচ্ছে প্রতিদিন যা যা করনীয় ছিল
হুল্লোড়ের ভাষা সবসময় অবুঝ ঠেলে দ্যায় পিকনিকের দিকে
অনবরত কান্না শব্দ আর জলবিন্দুহীন হাসির কথাই বলছি
শীতলতার জন্য দিঘী সেখানেও পাথর ভাসছে
বদলে যাচ্ছে প্রতিদিন যা যা করনীয় ছিল
হুল্লোড়ের ভাষা সবসময় অবুঝ ঠেলে দ্যায় পিকনিকের দিকে
পরম সময়
জল ও কাদার নীচে আলাদা দাঁড়িয়ে থাকে পা
অনর্গল বয়ে চলা কথার মধ্যে ডুবে যাই
যেখানে তল পাই সেখানে অন্যরকম দিন কেটে যায়
জল ও কাদার নীচে আলাদা দাঁড়িয়ে থাকে পা
অনর্গল বয়ে চলা কথার মধ্যে ডুবে যাই
যেখানে তল পাই সেখানে অন্যরকম দিন কেটে যায়
ভয় ও ভাবনা আর গড্ডালিকা কবিতাদুটো পড়ার আনন্দ ও প্রকাশ ভঙ্গিমায় মাতিয়ে দিল। কেয়া বাত। প্রবীর দা'কে ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনবরাবরের প্রবীরদা। ছোটো, সংহত, পাঠ-আরাম ও ভালো-ভাবনার ...
উত্তরমুছুনতোমার অন্যতম সেরা কবিতাগুলোই পড়তে পেলাম। সোনামন স্তব্ধ করে রাখল । সেলাম প্রবীর।
উত্তরমুছুনbinirman ke nirman o purnotar sundor deoar khnoj pelam aapnar kobita e.....onek dhanyobaad
উত্তরমুছুন