সত্যম ভট্টাচার্য এর কবিতা
এলোমেলো চিন্তা ভাবনা ইত্যাদি
এক।।
‘প্রতিদিন ব্যাগ রাখলে চকলেট খাওয়াতে হবে’-বহু বছর আগে এমন কথা বলেছিল কেউ।
কোন সন্ধ্যা রাস্তার
ওপার থেকে উচ্ছল হাত নেড়ে বলেছিল –‘এইদিকে এসো না।অথচ রাস্তা দিয়ে
সময়ের অনন্ত ঢেউ,
অগুনতি চলেই যাচ্ছে এতটা কাল যে রাস্তা আর পার হওয়া হলো না।
ঢেউ-এর সাথে সাথেই
দেখলাম ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়া ছিন্নমূল এক ভাসতে ভাসতে, দরজায়
দরজায় ধাক্কা খেতে
অভ্যাস করে ফেলেছে।শহরের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে সে খুলে ফেলছে তার
পুরোনো পোশাক।
দুই।।
শীতকাল দূরে চলে গেলেই তার কথা খুব মনে পড়ে।মনে
পড়ে একটা দীর্ঘ অবসাদের সময়
কি সহজেই বেশ পার হয়ে আসা গেল।অথচ কত কিছুইতো হতে
পারতো।নিস্তব্ধ সন্ধ্যা গুলি
যখন বরফ ঝরে ঝরে ক্লান্ত, পেশীতে টান, পানীয়ের
পাত্র হাতে নিয়ে কোনদিন কি তুমি একদৃষ্টে
তাকিয়ে থাক নি ফায়ারপ্লেসটার দিকে? আহা ধিমি ধিমি
আঁচে হালকা আগুন তার কি সুন্দর।
তাকে কতই না ভালবেসে ফেলা যায়।ভালবেসে ছেড়ে চলে
যাওয়া যায় কতকিছু।
তিন।।
ঘুম পায়।বড় ঘুম পায় আজকাল।মনে হয় হাজার হাজার ফুট
গভীর খাদের ধারে আরামের ঘুম হবে আমার।
খাদের অতল থেকে মেঘের দল রাশি রাশি উঠে এসে জড়িয়ে
ধরবে।সুখস্পর্শে কেটে যাবে সময়।ভেজা পালকের নরম বিছানায় শুয়ে ভেসে যাব না লেখা
ঠিকানায়।সূর্যস্নাত কোন বিকেলে আলতো রোদ এসে পড়বে শরীরে আর আমি উষ্ণতার কথা বলবো।
চার।।
এ লেটারবক্স এ কারো ছোঁয়া পড়েনি বহুকাল।বহুকাল
দূরাগত কোন চিঠি এসে দরজা খোলে নি। কেউ মনে করেনি।গুমোট হাওয়া ভেতরে পাক খেতে খেতে
মরেই গেছে একদিন।এখন সারাদিন নিশ্চুপ নিস্তব্ধ।একা একাই সময় কাটে।সকাল বিকেল গুলি
কেটে যায় এভাবেই।অলস সূর্যাস্তের দিকে তাকালে কোন কোন দিন বাবার মুখ মনে পড়ে।পাতার
ফাঁক দিয়ে চলে যাওয়া মনোরম দিনগুলি।
পাঁচ।।
সকাল গুলো কুয়াশা মেখে দাঁড়িয়ে থাকতো তখন,পড়তে
যাবে বলে।আর সময়টা ছিল অন্যরকম।মাটিতে রস ছিল।খাতার পাতায় নূপুর বাজতো সব
সময়।সন্ধ্যে হলেই তোমার বাড়ি,ভাব ভাব আড়ি আড়ি।মাঝে মধ্যেই সাইকেলের চেন পড়ে যেত
তখন।কি আওয়াজ হোত যে বুকের ভেতর।সকালের উনুনে আঁচ পড়তো সবার।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন