পার্থ সারথী লাহিড়ী র কবিতা
অনিন্দ
চাঁদ
গোলাপ বুকে
নিয়ে কারা যেন হয়ে গেল ব্রজবাসী।
জোৎস্নারা
অনিন্দ চাঁদ সেঁকে উনুনে
প্রতিবিম্বে
ভরেছে কলসের মুখ
চাঁদ লেখা
হয়ে গেলে জাড়ি থাকে উজ্জ্বল গোলক সন্ধান
কে যেন ?
সত্যম, সত্যম –
ভাই আমার,
বেটে দিস ত্রিমাতৃক শূন্যের গ্রাফাইড পেনসিল।
আমার তেমন কোন ফুল
নেই
এবার তোকে আরও দুঃখ দেব
ভেবেছি
ভাসমান হিমশৈলের গভীরতা
জানে পাহাড়
তূণের দিকে হাত বাড়াই
সলিল থেকে উপযুক্ত ভারি কোন
বান উঠে এলো না
আমি আবার ঘাস হয়ে গেলাম
হরিণচোখে কখনো পড়িয়ে দেই নি
কাজল
তার গাঢ় বাদামি শরীর, কে
যেন যত্নে সাজিয়েছিল বকুলফুল
আজ সহসা দুপুরবেলা
আকাশ জুড়ে যাযাবর মেঘ
বৃষ্টি আসছে
হরিণ, তোর কাজল গলে যায়
আমি আবার ঘাস হয়ে যাই
আমার তেমন কোন ফুল আর নেই
বিড়ালটা
বিড়ালের
চোখের উপর উবু হয়ে শুয়ে থাকে নিভৃত উনুন,
সন্তর্পণে গুটি-গুটি
চেটে নিতে থাকে নির্জন নির্জনতা।
উলের বল নিয়ে
প্রিয় খেলা খেলে বিড়াল,
থাবায় থাবায়
লুফে আনতে পারে সাদা-নীল ফুলকাটা মশারী
উল ছড়াতে
থাকে, ছড়াতে থাকে ঘড়ময়।
একদিন ও ঘুড়ি
হয়ে যাবে
বলটা হয়ে
যাবে এক উজ্জ্বল গ্রহ
ও গ্রহ নিয়ে
ফুটবল খেলবে একা একা
একটা বোকা
বোকা সময়, একটা চালাক পাখি
খাঁচায় বসে
ঢোঁক গিলে মরে যাবে হিংসায়।
গ্রহটা
লাফাতে থাকে পিং-পং বলের মত
সম্ভাবনা হীন
একক ফুটবল ভাল লাগেনা
ঘুড়িটা লাটাই
বেয়ে আবার ঘরে চলে আসে,
এ ঘড় ও ঘড়
জুড়ে বিড়ালটা লেপ্টে যায়।
ফাগুন
চুম্বন
শিল্পের শীর্ষে
গুড়ো হয় একক
গোলাপ
এসময় ছুটে
আসে ঠান্ডা বাতাস
জড়ো করে নিজের শহর
বরফ পরে
অন্তঃতালুতে
জিভের চারপাশে
যেখানে ফাগুনের ধুয়ে
যাওয়া লিপি
বদ্ধভূমিতে
অকারণ ফেলে রাখে শাঁখ
আর
রাজহাঁস রাজহাঁস
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন