সূরজ দাশ এর কবিতা
ভাসানের গান
কিছুই কি করার নেই ? ভেবেছি আগুন থেকে তুলে
আনবো ভোরের হাসি ! হিংসার টবে ধাক্কা খেতে খেতে
তারপরও মুছে দেব স্নাতক পাখির ভাসা ! বল
এরপর আর তুই হিংসে করবি ? আমাকে কি আর
দুপুরের লাল শাকে ছড়িয়ে দিবি না ? সুপারির
গোপন খোসায় আমাকে ভাঙ্গ না তুই ! বেলা শেষে
গড়িয়ে দে সাত-পাঁচ দোতারা একতারার মাঠে
বসে বসে বাহান্ন তাসের তেপ্পান্ন ম্যাজিক হবো
বিদুরের অন্ন হয়ে তোর হাঁড়িতে খিচুড়ি হবো
তোর সান্ধ্যভাষা বুঝে বনচাঁড়ালের ছড়া গানে
রবিবার হবো ! চিতা থেকে তুলে আনবো পুরনো
মনসার গান ! ভাসানের দিন সঙ্গে থাকবি তো
?
বুকভারী যোগ-বিয়োগ
যাতায়াতের পথে বহুবার ভেবেছি
উঠোনে দাঁড়াবো তোর
নদীর দুহাত তুলে
তোর জন্য রেখে আসবো
অগাধ গানবাজনা আর পানকৌড়ি নেশা
তারপর অনেক অনেক সহভাগী ধুকপুক
মাথার ওপর দিয়ে
উড়ে গেল বেসামাল শালিখ-সন্ধ্যায়
রোদের কিনার ধরে এগোতে এগোতে
ধৈর্যের ডালপালা সেও গুটিয়ে নিচ্ছে অতীত
বুকের বোতামে সেঁটে থাকা বুকভারী যোগ-বিয়োগ
এখনও নিপাতনে সিদ্ধ হতে
তান্ত্রিক হতে চায়
ভাঙা সাইনবোর্ডের নিচে ওই তো
ওই তীর চিহ্নটা তোর দিকেই তাক করা এখনও
ছলাৎছল
নিষ্ফলতার রঙ যাই হোক না কেন
বুকের সাত হাত নিচে
ওলটপালট ওম আর
কাঠামো জুড়ে শুধু পালাবদলের গল্প
নদীর ভেতর থেকে টিপটিপ ঘাম-রোদ মেখে
এই তো পিছলে গেল চাঁদের উল্লাস
যে যাই বলুক , ভুলের সপ্তর্ষি জুড়ে
এই হাঁটা – চলা
নেপথ্যে নাবিক
পথের খোঁজে কীর্তনিয়া , ছলাৎছল
বাথানে
বসে অলৌকিক চর্চা
আকাশে লটকে থাকা চাঁদ, কাঁটাতার, রাধাকৃষ্ণ
হেলেঞ্চায় মজে থাকা মন, ঢকঢক, বথুয়ার
গন্ধে দুপাড়ার জেগে থাকা দুপুর বেড়ানি দল
সব একাকার, মিসিং ডায়েরি বুকে সাবানার
আব্বা এর কাছে, ওর কাছে, কোনও কিনারা হলো না
বাজারে মেয়ের দাম কত, জানা নেই মোস্তাফার
রহিমের বউ আজও কিল-চড় গিলে সন্তানের
ঠোঁটে গুঁজে দেয় মহার্ঘ্য লালন, পতি দেবতার
নির্যাতন কোনও নতুন বিষয় নয়, এ পাড়ার
সকলে বাথানে বসে চর্চা করে দুঃখ শোক কষ্ট
ভাটিয়ালি , দেবতার অলৌকিক জলযান, গল্প
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন