নীলাদ্রি বাগচী র কবিতা
স্কেচ- মালিগাঁও
১
অন্ধকার চিরে গেল দৌড়। ফিরে এলো টানা আলো হয়ে।
কাউন্টারে কনুই আর পাতা হাতে থুতনি ভর দিল।
সেজে উঠল মেডিসিন শপ
জুবিলি বিবাহ ঘরে জ্বলে যাচ্ছে টুনিবাল্ব
অন্যসময়...
২
খোলা পিঠে খেলে যায় দ্বিতীয়া বাতাস। গড়ানো খোঁপায় লাগে রাজধানী শহরের ধুলো। ভূমিকম্পে ধ্বসা
বাড়ি গল্প বেয়ে নেমে আসে নীচের বাড়িতে। বাড়ি মালিকের ছেলে বিয়ে করতে চলে গেছে দুরের শহরে।
এ অবধি নারিকেল
সবচে উঁচুতে আছে টিনের গোশালা; ধর্মপ্রাণ, শান্ত অনুভূতি...
৩
পড়শি উঠোনে আলো বাঁধানো চাতাল। তুলসী বিন্যাস। গাঁদা। সংজ্ঞায়িত ছাইগাদা। কাজের বাড়ির চাপাকল।
আসলে নিথর; মৃদু। ভীরু কচুপাতা ডাকা শীত। জলের উঠোন থেকে এতদূরে বোঝা যায় উচ্চকিত দৃশ্যগুলি সম্পর্কের ধারাভাষ্য প্রাণ
ধুলো। রাস্তা। সদরের
নিমগন্ধ, নিশিডাক
ক্রমশঃর জন্য এই ফুরিয়ে যাওয়ায় নতজানু...
পাঠক- একটি প্রবণতা, জঙ্গল জীবন
চুল খুলে রেখেছিল বিব্রতর আন্তরিক লোভ। তখন পাওয়ার নেই। বাস্তবিক নেই। শুধু বাতাসের শর্তে মনে হল, বয়স কমেছে। মনে হল- নবীন করে লও হে। আর তার আগে পরে ব্লেড বাঁ কাঁচির কোন ভূমিকা ছিল না। ছিল না উপমা, যেন টানা লেখা প্রতিশব্দ- স্ট্রিটলাইটের অলিগলি...
আজ যখন নিঃশ্বাস ভাবছে এরই নাম সামাজিক, এই হল সততা ও শত কথা আর নরম তোমার
দেখো, বাতিল করাও যা বিধি বলে ঝোঁকা সেরকমই। তফাৎ কেবল ঠিক কি ভাবে দেখছ তারজালি সন্ধেগুলো রিক্সাহর্নে স্নান করে আছে। আর ভাবছ, অমৃতর কতটা সমান...
সেসময়, মজা হল, লরে যাচ্ছি ঘুম আর স্বাস্থ্যের আশ্চর্য রসায়ণ খুঁজে...
রাত্রি, তুরতুরি চা বাগান
তর্কের সূচনা ছিল গাংগলিয়া সাপ। সেই পেলব ধবল আর তাকে টপকে গেলে সন্তানের জন্ম- এই নিয়ে। লেখার আগের দীর্ঘ প্রস্তুতির জন্য আর একটা মেহেমান যাওয়া দিন কিন্তু অরণ্য জড়ানো বিকেলের থেকে এ ভাবেই এলো। গাঢ় হল।
হলফ নামায় সেই কীটনাশকের মৃদু ঘ্রাণে খোলা চা বাগান ছুটল চোখ টপকে ছায়া গাছে গাছে।
প্রুনিং সন্ধের ঘুমে মিশে থাকা হুইস্কির আর্তি পুরাণে তার কুহু কুহকের ফেরে ধ্বনি প্রবণতা পেলে আজও অসহায় বড়া লাইনের চার নম্বর। যার গোয়ালে প্রথমবার কালো গরুটির পায়ে পাকে পাকে নশ্বর- বিশ্বাস আর দুগ্ধপান রত এক আশ্চর্য দুধরাজ...
গ্রীষ্ম বিকেলে বড় তাপ। খোলা চিঠিটির জন্য কাল। আজ শুধু স্বগত ভাষণ...
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
দেখা আর মনন
উত্তরমুছুন