দেবজ্যোতি রায় এর কবিতা
একটি
কট্টর নাশকতামূলক কবিতা
আখ্যানের এই অংশে যেসব ঘোড়াদের আমরা কেটে
মাংস
রান্না করে খেয়েছিলাম তাদের অট্টহাসি আছে।
ঘোড়াগুলো
না থাকলে আমরা পরস্পরকে খুন করতাম।আর আছে
দরিদ্র
বেশ্যাটির কপালের টিপ,যে একটা সম্ভ্রান্ত
আপেল তুলে
ধরেছিল তার আততায়ীর দিকে।বিস্তর ফাঁপা ও
তরল ভাষ্য
তাবাদে এদিক-ওদিক পাখা মেলে উড়তে থাকে
উদ্দেশ্য-প্রণোদিত
হাততালির মহড়ার শেষে।অট্টহাসিগুলি
নির্বিকার ও উপরি-পাওনা।
ও থেকে কিছু বোঝা গেলেও যেতে পারে।এবং
টিপটিও
রক্তময়।আয়ুযুক্ত।
পবিত্র মূর্খতা
সন্ত্রাসটি বাহ্যতঃ সুস্থির।অকালপক্কতাহেতুটিকে
যথেচ্ছ সংলাপ
ছেড়ে দিলে ঠুনকোগুলি বাতাসে উড়ে যেতে
থাকে। ঢেউ গুলি
পাড়ের দিকে ক্রমশ উজ্জল ও
বিকারগ্রস্থ।অনুজ্জলতারই কোনো
বিকার থাকে না।বাতিস্তম্ভের মধ্যবর্তী
তৈলাক্ত অংশে সে নিজেকে
রাখে অসম্ভব দ্যুতিহীন। কেরানি উদ্বেগটুকু
ও এক পবিত্র মূর্খতা
তাকে বাঁচায়।জীবনদান করে না।
একটি আত্মস্থ হল্লাবোল
আমাকে বলা হয়েছিল বাতিস্তম্ভ ও বেলুনের
সম্পর্ক বিষয়ে কথা
বলতে।আর আমি দুর্ঘটনাগুলিকে সাজিয়ে
নিচ্ছিলাম।এটা ছিল
কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে এক চূড়ান্ত
অন্তর্ঘাত,যা একই সঙ্গে নীরব ও
বহুদূর প্রসারী।এজন্য সমস্ত ছিদ্রগুলোকে
জড়ো করা হয়েছিল
যেখান দিয়ে ঘনীভূত বাষ্প ও মেঘেদের মধ্যে,
ঘটনাও দুর্ঘটনার
মধ্যে, আইনবিরুদ্ধ চলাচলটি নিরুচ্চার ও
সময়োপযোগী হয়ে
উঠতে পারে।অথচ আমি কথা বলছিলাম নিরীহ
বাতিস্তম্ভ ও
বেলুনের মধ্যেকার সম্পর্ক বিষয়ে।হলঘরে তখন
পিনড্রপ স্তব্ধতা।
আর এভাবেই ঘটে চলেছিল সেই চূড়ান্ত
অন্তর্ঘাত ভেজা বেড়ালের
নগ্ন আত্মার প্ররোচনামূলক নিজস্ব
পরিসরে।যদিও দুইয়ের মধ্যে
প্রত্যক্ষ ফারাক তেমন ছিল না।এবং
অন্তর্ঘাতটি ছিল নিজের বিরুদ্ধেও।
একটি জারজ হুংকারের জন্য
নিহিত কাঠচেরাই কলের দাতব্য খাজানায় থাকি।বাকি
উপোসটুকু
পোষ মানাই চর্চিত পরাবিদ্যায়।শেষে
আইনবিরুদ্ধ গর্ভটির কাছেই
যাচনা করি একটি জারজ হুংকার; যা ছড়িয়ে
যাবে বিশ্বে, তারপরেও
মহাবিশ্বে।আর্তনাদটুকু বেরিয়ে আসে
গর্ভস্রাবের মত ও নিজেকেই
ছেদ ক’রে মিলিয়ে যায়।অথচ সজ্জাদৃশ্যটিকে সারিবদ্ধ
সাজানো
হয়েছিল।শূন্য বোতল থেকে চুঁইয়ে পড়ছিল
মদ।শুধু কৃষ্ণার ঘরে
আসেনি সেই রাত।কৃষ্ণা ও আমি এখনও অপেক্ষায়
থাকি।
অপেক্ষা জন্ম দেবে একটি জারজ হুংকারকে। আর
যা ছড়িয়ে যাবে
বিশ্বে, তারপরেও মহাবিশ্বে।
আমার অসুখ
ঘোলাটে মহানাগরীকবৃন্দ সংগোপনে মধ্যবিত্ত
পায়চারি অংশে
বাজিয়ে নিচ্ছিল নিজ নিজ পরকীয়া, আর মেঘ
থেকে সচেতন
বিদ্যুৎ......মুখ ঢাকা অংশটুকু ব্যবহারের
নিজস্ব রুমাল।
বেড়ালের রক্তের মধ্যবর্তী যে চলাচলটি
অ-প্রত্যক্ষ থাকে
অভিধানের ছিদ্র গলে তার সাত ঘাটে
রেখেছিলাম পা। তারপরে
আর ফেরা যায় না ব’লে ফিরি নি।‘অভ্রংলিহ’ কথাটা না বুঝলেও
‘মেঘচাটা’ অসুস্থতায় একটা জীবন।ফলতঃ দাঁত বাড়িয়ে আজও
কেটে দিতে থাকি শুচিবায়ুগ্রস্থ যতটা পারদ।
ঘোলাটে জলতল
তখনি স্পর্শযোগ্য হয় ও অনুভববেদ্য।বুঝতে
থাকি আমি কেন
ভাসি বেড়ালের থাবায় থাবায়......
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন