অনিন্দিতা গুপ্ত রায় এর কবিতা
এক।। কিস্তি মাৎ
দান পালটে পালটে যেরকম দ্রুততায়
চিনে ফেলছ পরাজয়লিপি
ততোটা অবিশ্বাস্য
লেখা থেকে খেলায় ছিলোনা
রাস্তার বিরতি-প্রবণতা
একেকটা কানাগলির মুখ খুঁজতে গিয়ে
নিজেকে হারিয়ে সর্পিলে, আচমকা বাঁক নিলো
কালো অক্ষর ছুঁয়ে নজরটীকায়
কপালের অর্ধেক চাঁদ একফালি স্পর্শের মধ্যে
আহ্, জ্বর আসছে
দুই।।
কুকিং ক্লাস
ফনা ও ছোবল
অথচ মধ্যবর্তী স্তব্ধতা
একপ্রকার ঝাঁঝালো লবন মরিচ
ফুলদানির মধ্যে লেটুস পাতা
ক্ষিদে সাজিয়ে, ইকেবানা সাজিয়ে
ওদিকে কাঁটা-চামচ শিখছে
কিভাবে কুসুমটুকু তুলে আনে
সাদা অংশের পিছলে
এবার যা খুশি লিখে ফ্যালো
তিন।। ছবিঘর
আঠা আলগা হতে হতে
ফ্রেমে, ফোটোগ্রাফে
পেরেক ও শিরিষ কাগজের
গল্পদুপুর, নিভৃতি, কাচের
আড়াল
আলাদা আলাদা ডাকে বা বাক্সে
নিজেই ঠিক করে নিচ্ছে
সম্ভাব্য সূচকের ওঠানামা
খোলা পাতা থেকে আরেকটা খুলে যাওয়া
পেরিয়ে পেরিয়ে
সে যখন উল্টো ক্রিয়ায়, জলছাপে
আঙুলের গূঢ় চিহ্ন সযত্নে মুছে রাখে
চার।।
দূরবীণ
সে এত অতীত যার ভূত নেই
নিরালম্ব পাহাড় দেখে যে উচ্চতা শেখার স্কুল
অঙ্কের অপটুতা তার থেকে দূরে দূরে রাখে
তাকে বোলো
অতটাই নিচু থেকে সে কেবল পাথরের ধূলোকথা
জানে
এখনো কিছুটা জল
হাঁটে
চলে কথা বলে
অন্যত্র যাবার কথা ছিল ভেবে গা-গরমের
আড়মোড়া
আসল রাস্তা খুঁজছে ত খুঁজছেই
আর তুমি কিরকম ভয়ে ভয়ে
অসম্ভব উত্তল ছেড়ে
সাবধানের দিকে গড়িয়ে দিচ্ছ চাকা
পাঁচ।। ডেস্টিনি
দু একটা গ্লিসারিন মাখানো সংলাপে
যেরকম ভারি আষাঢ়স্য পৃথিবী
বরফবল গড়াতে গড়াতে
ফুলেফেঁপে ওঠা থেকে ছিটকে যাওয়া
সেই পাথর উলটে এমনকি জলও যেতে পারেনা
সমস্ত ডিপ্রেসনই আচ্ছন্নতা দাবী করে
অথচ সেই শূণ্যের মধ্যে সেরকম ঝটপটানি নেই
যে তোমার হাত থেকে চারাগাছ তুলে নেবে
সামান্য শব্দের পাশ দিয়ে অন্ধের ভূমিকায়
বারবার হেঁটে হেঁটে
নির্ধারিত ভেবে যাকে অপেক্ষায় রেখে
আর ফিরে আসবে না
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
লেখা কোথাও ছুঁয়ে যায় ,
উত্তরমুছুনভাবনা ভাবিয়ে যায় ।