......শীত শহরের বৃষ্টি রা এলো
কিছু
নিজস্ব
কিছু বা তার
সন্ধ্যার
ছাদ হয়ে উঠেছে
সাদা অংশের পিছলে
এবার যা খুশি
লিখে ফ্যালো
গন্ধের সন্তান হয়ে বসে আছি ঠোঁটে চৈত্র প্যারেড করে যাচ্ছে
ক্ষীর নদীর কূল থেকে এই শহরের দূরত্ব কত
তোমাকে সূর্যাস্তের ভেতর ফুটে ওঠা ধানক্ষেত ভাবছি
শূন্য রেখে যাও মাটির অসুখে
বয়সের রঙিণ আস্তানায়
কেন
না
মনখারাপের উৎস ভেঙে যাবে এবার
জাল ফেলতেই অসংখ্য মাছ
তারা
হয়ে ঢুকে
গেলো মেঘের
শরীরে
জলের উঠোন থেকে এতদূরে বোঝা যায় উচ্চকিত দৃশ্যগুলি সম্পর্কের ধারাভাষ্য প্রাণ
অন্যকে সন্দেহ করবার আগে নিজেকে সন্দেহ করো –
দূর তাঁবুর ভেতর তোমার আস্তানা
একপশলা মেঘ
আর এক
পশলা বৃষ্টি
আজ সহসা দুপুরবেলা
যখন একটা মোমবাতি লিখতে চাইছে অরণ্য শহরের আত্মজীবনী, ঠিক তখনি
যেখানে তল পাই সেখানে অন্যরকম দিন কেটে যায়
ভেঙে যেতে
পারে,চিরকালীন কালোর থেকে উবে যেতে পারে আধখাওয়া
তাকাতে পারি না বন্ধ চোখের ভেতর জেগে থাকা ছবিরা
যদি চোখ খুলতেই মুছে যায়
এতটা ভালবাসা জমে
ছিল ভাবি নি
কখন
সব সম্পর্কে অন্নপ্রাশন থাকে না কচি দাঁত আর গাল টিপে আদর করে না
কেউ
শহরের রাস্তায়
হাঁটতে হাঁটতে সে খুলে ফেলছে তার পুরোনো
পোশাক। বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠার আগে
দেওয়ালেরও ঘুণ ওড়ে শীত ডোবার আগে কাচায় ওম জমল অনেক
যদিও জাতীয় শোক পেশা কেটে মাতাপিতার নাম
এভাবেই খতমের কারণটা জানা জরুরী...নদীর দুহাত তুলে
তোর জন্য রেখে আসবো
অগাধ গানবাজনা আর পানকৌড়ি নেশা
যারা আর পড়বে না
তাদের জন্য এটুকুই
আর আমি উঠে দাঁড়ালাম
একরাশ ছাই থেকে নতুন চিত্রকল্প নিয়ে...
উঠে আসে গুঁড়ো গুঁড়ো সুখ
পাত্রটির মুখের কাছে
মাটি কেমন দুহাতে সবুজ টেনে নেয় সারাগায়ে
চোখ ফুটলে বুঝে নেবে সবকিছু ………..চোখ ফুটে বেরোয়
পাঠকের
চোখ আর
সবুজ বিছানা
থেকে নেমে
আসছে শ্রাবণের
কুয়াশা টুং
টাং।
ধরা
যাক এটা
একটা বৃষ্টিভাসা
আড্ডার দিন।সব্বাই
মোম জ্বালিয়ে
তাকিয়ে আছি
তোমারই দিকে।
নদী
ভরে উঠছে
ক্রমশ। আমাদের
আড্ডা জমে
উঠলো......
দরাজ
খুললাম আছে।
জান... লা
লা লা
রা ও
বসে আছে
টুকরো টুকরো
ছাটের জন্য।
ভিজতে ভিজতে কে যেন এসেই গেল
এ
বা
র
বাক এর কভার উলটে দিতে ...।
এখানে সমস্ত শব্দ আর লাইন এই সংখ্যায় যারা লিখেছেন তাদের কবিতা থেকে ধার
করা।। পাঠকের জন্য আর বাক ৮২ তে যারা লিখেছেন
সব্বাইকে আমার কৃতজ্ঞতা আর ভালবাসা।।
অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়
(কবিতা সম্পাদক : বাক ৮২)
(pic courtesy: http://images.indianexpress.com/2014/07/bengal.jpg)
ভেবেছিলাম অনেক কিছু লিখব এবারের সম্পাদকীয়তে। এই মানুষটি আজ আমার সব কথা কেড়ে নিয়েছেন। আজ কোনো উচ্চারণ মানানসই নয়। এই মৃত্যু উপত্যকাকে আজ বড়ো বেশি করে নিজের দেশ মনে হচ্ছে। ত্রাস অনুভব করছি, আরো অনেক বেশি আজ। প্রণাম নবারুণদা।
-- অনুপম মুখোপাধ্যায়
সেই মশালচী গেলেন আপাত বিশ্রামে। মনখারাপ টা জড়িয়েই আছে।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ বাক কে সময়োচিত শ্রদ্ধার জন্য।