প্রশান্ত গুহমজুমদার এর কবিতা
কলমকারি
১.
পরলোকের ছবির ভিতর বাতাস আর ও গল্প করিতেছে। প্রচুর আলুলায়িত কেশ। আঁকিতেছে জানালা, ম্যুরাল এবং সমূহ আলো। বিকালের দিকে, শীতের দিকে। এমন আড়ালে সে আমাকে শিক্ষা করিতেছে। সামান্য নুন আর রক্ত সহযোগে। যন্ত্র সঙ্গতে। পটুত্ব আর ছুরি হাসিতেছে। এইরূপ ক্রিয়ায় দুইদিকেই ধার।
২.
কি এক ডাকের জন্য
এই টেবিল। ভাষা নাই। একদিন। একদিন। ফুলেই সাজাই এই বেলা। ফুলেই। অন্য ঘরে খেলা হবে
আবার যদি। কথা হবে। দূরত্ব যতখানি দিতে পারে। কতই তো ব্লেড, কলমকারি আর বাখান। ওড়না।
নীল। নদীর সামনে যেমন। কাল অকাল নাই। এক গন্ধের দিকে কেবল। মাতৃদুগ্ধ মনে পড়ে!
একজন হইতে একজন উঠিয়া গিয়াছে, যায়, যেরূপ আলো, অনভিপ্রেত, তথাপি।
৩.
একখানি
রক্তরেখা। স্থির অবলিক্ হাস্যময়। তুলোর কথা কত বলিয়াছি! বিনিময়প্রয়াসী কতবার
পথের! এক প্রান্তের দিকে আলোগল্পসন্ধ্যাকাল, অপরে হাস্য। বারবার। তথাপি টেবিলখানি
সমবায় মনে রাখে না। অতিরিক্ত নাই আর সামান্য চেয়ার। ঘুড়ি দেখি। ওইখানে একখানি
আমাদের ছিল।
৪.
বিয়াত্রিচের গল্প। পুলিশের। সন্ধ্যার। বাবা আর কামিনীর।
সেই পুকুরের। চৈত্রের। লিরিকে পিঁড়ির। কে আর কবে কবিতার পশ্চাদ্দেশে! অশ্রু কি বিনিময়যোগ্য!
প্রবন্ধ ও মানুষের গল্প। সেমিজের। নক্ষত্রের। বীরেনের দুটি সন্তান। ভালো আছে?
আপৎকালীন রাত্রি। আবার বাচ্চু এবং মহিষ। স্মৃতি আর উপলের কথকতা। কঠিন, পাঠযোগ্য,
বাথরুমের অন্ধকার। মধ্যবিত্ত তুমি।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
"নদীর সামনে যেমন। কাল অকাল নাই। এক গন্ধের দিকে কেবল। মাতৃদুগ্ধ মনে পড়ে! একজন হইতে একজন উঠিয়া গিয়াছে, যায়, যেরূপ আলো, অনভিপ্রেত, তথাপি।" chamatkar... :)
উত্তরমুছুন