অসমাপ্ত কবিতা
আমি
লিখি। প্রতিদিন লিখি।
অসমাপ্ত কবিতা। জন্মসূত্র থেকে।
কলমেরা ভাষা চলতে শুরু করে। দীর্ঘনিঃশ্বাসের পথে।
বুড়িয়ে যাবার মত। লেখার একেকটা ইট। গাঁথুনির মশলাগুলো।
ঘিরে ধরা ভাবনারা। বেড়েই
চলেছে। চোখ মেলে তাকালাম। লক্ষ্য
করছি চলন। চৌকাঠ পেরিয়ে কখন সীমানার কাছাকাছি।
কখনো ফেনার বুকের মত শক্ত। নরম ধুলো। পাথরের ভার। আর তার গতিবিধি। এই
সবই তো কবিতার শরীর। প্রতিদিন ভরাট
হচ্ছে খাতার অদৃশ্য লাইন। কবি হিসাবে নিয়ন্ত্রণ করতে
চাই রচনা। পাহাড়কে দাঁড় করাই
মুখোমুখি। তারপর ভাবি টপকে যাব ওই উচ্চতা। কতবার
হোঁচট খাই। পড়ে যাই। উঠে দাঁড়াই। বিরতির
মধ্যেও চলতে থাকে সুলুক সন্ধান। একমাত্র
আশ্রয় হয়ে ওঠে নোটেশান।
প্রথম
প্রথম সব সাদা লিখতাম। জলের
মত করে। তারপর ভয়! এই অপ্রিয় শব্দগুলো যদি
জেনে ফেল কেউ! দলাপাকানো সত্যিগুলো!
ওই ভাষা চিনে ফেললে বিষাদ ঘিরবে গোপনে। এখন কাগজের কথাগুলো ঘষামাজা!
মিথ্যের বুনেট। কোন ঝুঁকি নয়। তাই ওই ভাষামন্ড যারা
মুক্তি পেল। সেটা আঁধারের ভাষা।
প্রতিটি কবিতার মধ্যে ঢুকে থাকছে অন্য আরেকটি কবিতা। সেটি অপ্রকাশিত। সবাই
দেখছি পরিচয়পত্রের ছবি।
তাতেই শিলমোহর আলোর
ঠিকানার । ঠিক প্রকাশিত কবিতার
মতন। বাইরে দেখে চিনে নিচ্ছি জলছাপ। ভিতরে ঢুকতে পারছি না। নেড়ে চেড়ে দেখছি না অবশিষ্টাংশ।
ইচ্ছে।
মোচড় দিচ্ছে।
ছুঁতে
চাইছি বনানী। কাঠঠোকরা। হাওয়ার
শব্দ।
এইসব
কি বেঁধে দেওয়া যায়?
আমি
স্থির। ওরা সরে যাচ্ছে পায়ের মত।
ওখানে।
পাতার চোখ। সবুজ নৈঃশব্দ্য।
আলগা
ধুলো উড়ছে।
ঘুরছে
পৃথিবী। পতঙ্গ শব্দগুলো বসছে
কল্পিত ঘাসে।
ওদের
জড়ো করি। কাঠকুড়ানির মত।
একটু
একটু করে
সরে
আসছে রাত। জমা হচ্ছে গোপন অন্ধকার।
রাতের
ফিসফাসগুলো। গভীর। তলহীন।
চিহ্নের
শরীর। ঝুলি ভরছে নিস্তব্ধতায়।
আকার
চাইছি। থামতে চাইছি। মুখভরা
প্রতীকতা।
জড়িয়ে যাচ্ছে দিন।
বলের
মত গড়িয়ে যাচ্ছি। স্থিতিহীন।
সবার
সাথে আমিও ছুটছি। চলায় যা পাই!
কোষঘর।
কলমের অস্ফুট ভাষ্য।
পেটের
নির্ঘুম। শব্দের রন্ধনশালা।
জিভ!
প্রতিটি জীব! কেবল সায় দেয়
গদ্যের
ভাষা। লিখিয়ে নেয় সমস্ত উপত্যকার বালি।
বালির
মধ্যে দিয়ে হাঁটি। চোরাবালি। চোখবালি।
সব
ঘাসকালি দোয়াতে ভরছি।
স্বল্প
দীর্ঘ। তাগিদ। আঙুলের খেলা চেয়ে,
কলম
ধরছে নাবিক। অভেজা জলপথ জুড়ে
আনাগোনা।
মনগড়া শহরকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে কবিতা।
কৃত্রিম
ক্রন্দন। কাগুজে খিলখিল।
এই
অনুচ্ছেদ নিস্তব্ধ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
খুব ভালো লাগলো ।
উত্তরমুছুন