সকালে উঠে
পেচ্ছাপের রঙ সাদা আর
পায়খানা নরম না হলে
ইনসিওরেন্স এর প্রিমিয়াম ডবল করে দিন
পেটকাটা শাড়ির ওপর
আলতো চাদর জড়ানো
কার্যনির্বাহি সম্পাদক এসে ধম্কি দিয়ে যায়--
কবিদের বিচিতে আতর মাখিয়ে
পত্রিকার সৌজন্য সংখ্যা পাঠানো উচিৎ --
আপনি তটস্থ
খুঁজে পেতে নিজের বিচি দুটো নিয়ে
দে দৌড় মহাফেজখানায়
রসিদ মিলিয়ে ফেরত আনতে চান
মর্টগেজ রাখা শিরদাঁড়া
আর রামধনু সার্কাসের জোকার তখন একটা ঘোড়া নিয়ে
আপনার সামনে এসে দাঁড়ায়
ঘোড়াটা বাতকম্ম করে
হাফ বোতল দারু খেতে না খেতেই
শিশ্ন নেতিয়ে ‘ন’
তখন বান্ধবির শিৎকারে আঙুল ঢুকিয়ে
আপনি হাঁফাতে হাঁফাতে বলে চলেন--
আই লাভ য়্যু আই লাভ য়্যু
দেয়াল থেকে চুন সুরকী
পড়বি তো পড়
আপনারই টাকের ওপর
আর আপনার আঁচিলের রস শুঁকে
একটা মাছি
আপনার পিছু ছাড়ছেনা
রোজই ভাবেন
খুব বেশি হলে আর কী-ই বা হবে
পেছন দিয়ে যে বাঁশটা ঢুকেছে
সেটা সামনে দিয়ে না বেরিয়ে
ভেতরেই ঝাড়ে বংশে
কলোনী সভ্যতার জন্ম দেবে
তখন থেকেই
আপনার স্বপ্নে একটা বাঁদর এসে
ল্যাজ দোলাচ্ছে তো দোলাচ্ছেই
বাস দাঁড়াচ্ছেনা
ট্যাক্সি পাত্তা দিচ্ছেনা
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের পাসওয়ার্ড
ম্যাচ করছেনা
সিঁড়ি হড়কাচ্ছে
চৌকাঠ উঁচু হচ্ছে
বিছানার চাদরে শীঘ্রপতনের দাগ
ঘন হয়ে উঠছে
আপনার ওজন কমছে
আপনার বউয়ের ওজন বাড়ছে
আর আপনার ছেলেমেয়েরা
বাপের চুপসানো হিপ্পকেট ট্যারচা চোখে মেপে নিয়ে
ভীড় জমাচ্ছে শপিং মল এ
মাল্টিপ্লেক্স-সেক্স ব্যাপারটা
ভাবতে ভাবতে
আপনি পেটে হাত বোলান
আর রুমালে গিঁট বাঁধা অভিশাপগুলো
কখন যেন আলগা হয়ে খুলে
চলমান অশরীরির ঘুঁসির মতন
ধেয়ে আসে আপনার চোয়ালে
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দাগ কক্ষনো উঠবেনা
তার চেয়ে আমি বলি কি
এতোল বেতোল দেওয়াল না ধাক্কিয়ে
হোমাপাখির ডিমে তা দেওয়ার পাট চুকিয়ে
প্রশ্ন করে চলা প্রশ্ন করে চলা প্রশ্ন করে চলার
সন্দেহবাতিক চ্যুইংগাম না চিবিয়ে
আপনি বরং
থুতু গিলতে শিখুন
থুতু গিলতে শিখুন
থুতু গিলতে শিখুন।।
আমার ধারণা এই কবিতাটা পড়ার পর অনেকেই আয়না খুঁজবেন । আর ভাববেন আমি তো থুতু গিলতে পারি !!
উত্তরমুছুন