মোড়ক খুলেই উপহার
রংচং-এ কাগজ দ্যাখো
ক্যামন নিটোল ঝুলে আছে হত্যা থেকে
মাটি অবধি খুলে রেখে চটি
পড়ে আছে বীজবপন খেলা
যেন আঘাত ততটা নিখুঁত নয়
আঘাতের লাবণ্য যত
শিশি ভাঙতেই হাত পেতেছিলো
মা,উড়েছিলো ধোঁয়া
আরোগ্যের কাছাকাছি বসেছিলো হত্যার দৈত্য
এ মঞ্চে বাবা ফলক কাঁধে এসে দেখেছিলো
গাছের নৌকোমূর্তি
নদী থেকে রক্তদৃশ্য ফাতনা তুলছে আবার
বাবা-মা চলে যাচ্ছে এ পাখনাপথ বেয়ে
২
পাথর কোঁদা প্রার্থনার সামনে
পুকুর হয়েছে বাবা
যেন গুহার কাছে সমুদ্র শিখে নিচ্ছে
পা ছোঁয়ার হাত
অঙ্ঘৃপের দোসর গাছ
হাওয়া নয়,অন্য এক মৃন্ময় আরাধনা
সে ঠোঁটের আকুলতা
নিয়ে যায় উচ্চারণ অবধি
মেয়েরা যে যার নাচঘরে ফেরার আগে
শিখিয়ে যায় মা ডাক
৩
আর উঠোন দেখেছে জ্যোৎস্না সামান্য
নেচেছে আঙুলের অভিপ্রায়
জোনাকীরা যতদূর আলো হতে পারে
এ বাঁশী ফুটিফাটা হলো ততদূর
এমন সমস্ত রাত শুধু মাদুরে মুড়ে নিয়ে এলে
দরজা খোলাই ছিলো ছায়া বরাবর
চৌকাঠে দুধের দাগ
সমস্ত হাঁটাপথের পরেও কিছু ছাদ
আলোর মতন দাঁড়িয়ে থাকে
সমস্ত বেলুন-প্যান্ডেল পেরিয়ে অনুষ্ঠান
একলাটি দ্যাখে কীভাবে
নৈঃশব্দ অনুষ্ঠিত হয় আরেকটি ঠোঁটে
ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন