আয় না, আয় না...
এই আয়না আয়না খেলায় আমি তো কেবল আমি খুলে খুলে আমরা’র রঙ্গিলাপুরে ডাক রোদ পেতেছি,
ছায়াকে অক্ষর ভেবেছেন কেউ, কেউ বা আত্মপুর... এই তো সময় মুর্শিদ... এ ওর ডাকে, সে তার
আয়নায় ঢুকে গিয়ে বিনিময়ের তাবিজ ওড়াবে... আর রেখে যাবে এক-একটা মায়া-পুর মহাকাশ জুড়ে
আর পঞ্চভূতে... এ যেন আয়নামহল...
আর এই আত্ম-অপর খেলাটাই তবে বিপননবাদী সময়ে একটা কালেকটিভ স্পেস হয়ে উঠুক... সাইবারকলোনির
হাইপারকোডগুলি যখন ভাষা-প্যানোরামার হরফ-বৈচিত্র্যকে ঝাঁঝিয়ে তুলছে ফ্ল্যুরোসেন্ট রঙে,
তখন কুলকুণ্ডলিনী থেকে ফের বের করি চিরায়ত আয়না... নির্বাক হয়ে যাওয়া পরিকাঠামোয় আমরা
ফের ফিসফিস থেকে কলরব, কলরব থেকে জিকির-সংকীর্তন শুরু করি, আর ভাষায় লাগুক মাটি...
আসলে, অ্যাড কিংবা অ্যাডিকশনের জড়ানো কথনে ফুঁ দিয়ে আমরা যদি মোহ খুঁড়ে আয়না জাগাতে
পারি... যা বলছি থেকে যা বলতে চেয়েছি, যা বলতে চেয়েছির আড়ালে যে বাক্ সাঁই হয়ে গেছে...
তার প্রেম, তার প্রকৃতি, তার ক্ষুধা, তার রাতভোর, তার মরুযাপন, তার বিদ্রোহ, তার রক্তস্রাববীর্যস্নান...
তাকেই স্বাগত জানাতে চেয়েছি, ডেকেছি আয় না, আয় না... সেই ডাকে এ বাঁক সে বাঁক থেকে
অনেক তরী স্ববাক এসেছে ‘বাক্’-এ... আমি তাকে কবিতা বলে চিনি, আমি তাকে জন্মাজন্ম,
আমি তাকে কাবাঘর, আমি তাকে প্যারিস-৬৮, আমি তাকে তেভাগায় চাঁদ ... আমি তাকে না-কথা
সমুদ্রের পাড়ে ফেলে রাখা চটি, নামে গান ধরি।
সে মতই এই সংখ্যার আকুতি,
সে মতই ডেকেও অনেক না পাওয়া, সে মতই আবার আসিবো ফিরে... সে মতই প্রকরণে ডানাওয়ালা ঘড়ি...
কূল নাই সীমা নাই... ভাসুন, আবারো আসুন এই স্বাগত সময়ে গুন টানতে শস্যের খোঁজে... আমেন!!!
অতনু সিংহ
(কবিতা সম্পাদক : বাক্ ৮৫)
২৬.১১.২০১৪
অনুপম বলছি। এসে পড়ল ‘বাক্ ৮৫’। আপনাদের স্বাগত জানাই।
এই ২০১৪-র শেষে একটা ওয়েব পত্রিকা সম্পাদকের পছন্দের তালিকা ও জনসংযোগ দেখাতে আসে না। সম্পাদকের ব্যক্তিগত রুচি এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়ে একটা ওয়েব পত্রিকা চলে না। সেটা মৌলবাদ ডেকে আনে। একটা পত্রিকা চলে ... স্ট্র্যাটেজিতে। বাঁচার স্ট্র্যাটেজি... এবং সেই কৈফিয়ত, যা ডারউইন সাহেব দিয়েছিলেন। স্ট্র্যাটেজি কাকে বলে? সেই পরিকল্পনাকে বলে যা একটি ফুটবল টিমের
থাকতেই হয়, নাহলে তার মাঠে নামার যুক্তি থাকে না। সেই পরিকল্পনাকে বলে যা একটি কৃষিক্ষেত্রে বীজ বপনের আগেই কৃষককে
করে ফেলতে হয়।
একটি ওয়েব পত্রিকা আজ আর শুধু লেখা প্রকাশ করার জায়গা হতে পারে না। কবিদের প্লাটফর্ম হওয়ার দায়ও গেছে ফুরিয়ে, সেই দায়ভার নেওয়ার জন্য অনেক ওয়েব পত্রিকা আজ প্রস্তুত ও উন্মুখ। এখন একটি ওয়েবপত্রিকা প্রকাশিত হলে, তার যোগ্যতা, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নটা উঠতেই পারে।
কেন এই পত্রিকা? কী তার প্রয়োজন?
৫ বছর পেরিয়ে এসে বাংলা কবিতার প্রথম ব্লগজিন 'বাক' চাইছে আজও তাকে ওই প্রশ্নটা করা হোক। কেন 'বাক'? কেন সে আজও চলমান? কেন তাকে আরো বাঁচতে হবে? আরো তো অনেক পত্রিকা এসে পড়েছে!
হ্যাঁ, তার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য... এই শব্দগুলোকে আরো পরিস্ফূট করার তাগিদ থেকেই ‘বাক্’ আবার এল।
অনুপম মুখোপাধ্যায়
(পরিচালক : ‘বাক্’ )
হ্যাঁ , অনেকটাই ঠিক। তবে এত নিরপেক্ষ ভাবনা কেউই ভাবে না, তাই আশংকা এটাও না রাষ্ট্রনায়কের প্রতিশ্রুতির লিস্টে ঢুকে পড়ে। গ্রুপবাদ দেখছি দিব্যি বেঁচে আছে।
উত্তরমুছুনদারুন...... অসামান্য... এরপর থেকে শুধু অপেক্ষা করে থাকবো
উত্তরমুছুন