নীলাব্জ চক্রবর্তী-র ৪টি কবিতা
স্পোর্টস ডে
নার্সদের দুহাতে
মাঠের দু’রকম টেক্সচার
ফিকে হয়ে যাচ্ছে
ভিক্ট্রি স্ট্যান্ড থেকে আরও দূরে
ছুটে আসা জামায় চেক দিচ্ছেন বারবার
তবু সই মিলছে না
আর আপনি
ভুল করে
পছন্দ করে ফেলছেন একটা
মেঘলা কবিতা
হ্যালো বলছেন মিসেস
গোস্বামীকে
উপহার হিসেবে একটা সেলাই করা দুপুর
নিয়ে আসছে
আপনার জন্য
মেহগিনি রঙা তিরস্কার...
ইউ-টার্ন
রিঙ্কি নামের একটা ঘড়ি
সাদাটে ঘুম ঠেলে
ভারি বাতাস আর
তাস
গড়িয়ে যাওয়া
লম্বা করিডোরে
পেরিয়ে যাওয়া
প্রতিষ্ঠান নামের স্বরলিপি
ওখানে আমার লিপে
অন্য লোকেরা গান গেয়ে গ্যাছে
অন্যদের লিপে আমি
যতদূর টানটান হয়ে আছি
স্প্রিং
বিঁধে থাকা একটা আলগা ফর্ক। পুরনো গলি থেকে নির্মাণ করা ছোট
ছোট রবিবার ভেসে আসছে। টেবিলের মাপে বেড়ে ওঠা
একটা রাস্তার নাম নভেম্বর। ক্যামেরার জন্য কোনও লিঙ্গ নেই দাঁড়িয়ে থাকা নেই অথচ। এইভাবে অনিবার্য হয়ে উঠলো ফিকে মন্তাজগুলো আর সমস্ত নিরীক্ষা নিয়ে গিলে ফেললো শাটার ভেজানো আয়না।
ভুলে যাচ্ছেন দুপুরের বটানিক্যাল পিনকোড। কেউ কাট বলছেনা আনকাট বলছেনা এখনো। আপনাদের ট্রুথ না ডেয়ার খ্যালা ঘুরে যাচ্ছে
তো যাচ্ছেই...
শূন্যস্থান
রোদের ইত্যাদি ছাড়িয়ে ফ্যালা হোলো
সরু হাওয়ার ভেতর
স্পেস চাইছে
ফিরে আসছে আপেলসরণীর কোয়া
অনেক দূর থেকে
প্রকৃতি শব্দটা
একটু একটু করে বিদ্ধ করছে
ফর্সা কবিতাদের নাভি
আর
জল ঝরে যাবে ভাবলেই
পিন থেকে একটা আওয়াজ পড়ে যাচ্ছে
কাঁটা ফুরিয়ে
বিকেলের আরও তিনফুট গায়ে
জমে যাচ্ছে
বাদামী সিগনেচার
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
আনন্দ-পাঠ হল। শব্দে কীভাবে অদৃশ্য দৃশ্য হয়ে ওঠে, কীভাবে নৈঃশব্দের গভীরতম স্তরে পৌছে যায় চেতনার বীজ - এই কবিতাগুলি তার উপযুক্ত উদাহরণ। মানিক সাহা।
উত্তরমুছুনআপনার পাঠ আর প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মানিকবাবু... ভালো লাগলো খুব...
উত্তরমুছুন