অতনু সিংহ
শেষবার জ্বর ছেড়ে গেল
ভালো মানুষের বেসিন কাছে এলো আরও
মাথার ভেতর একটা কেয়া বাত কেয়া বাত,
ধবধবে ঘোর
চোখ থেকে, কপাল থেকে, জঙ্ঘা, শিরদাঁড়া থেকে
ঝিনঝিন উধাও।
সুরের বেহায়া, আলোর আবছা, আবছায়া ভর্তি ছাই-আকাশ,
কব্জি-কাঁপা শাটার, ভাঙা ভাঙা হৃদয়রেখা,
ড্রয়ার ভর্তি বাদামি এক্স-রে ধুম উধাও।
আর এই ‘উধাও’ শব্দের তাড়ায় তাড়ায় বাদাম গাছের ছায়া
ভূ-মধ্য থেকে রক্তিম সেই গোলোকে...
আমরা যার মহা-মায়া মেখে একেকটা ছমছম-দিনে
নদীর স্নায়ু টের পেতাম,
বিড়ি খেতাম রেডিও শুনতে শুনতে...
কিংবা যে মৌমাছি অথবা বোলতা যেসব
তাদের ‘বোঁ’ ধ’রে ধ’রে এপার ওপার কত সুতোর বুনোন
এর আঙুল থেকে তার রঙ ওর কণ্ঠে, তার কণ্ঠ থেকে উহার তুলসী
কাহার চুলে, উহার চুলের দ্রাঘিমায় কার চৈতন্যক্ষুধা,
কার ক্ষুধায় খোলা এক পথ যেন
অমৃত টিউবওয়েল
আর সুজাতাদি জন্ম দিলেন একটি গ্রাফিত্তি
বাঁধলেন চরাচর...
আমরা সেই রাত মনের হরিলুট দিলাম,
যেন সেই জলের আধারে অধর বলেছিল,
গাঁও ছোড়াব নেহি, জংগল্ ছোড়াব নেহি
মায়ে মাটি ছোড়াব নেহি, পেয়ার ছোড়াব নেহি...
উধাও।
হ্যাঙারে টাঙানো সেই গান কাচা হয়েছে
আহা চাবি, আহা কিই, আহা বোতাম,
আহা প্যানেল-কন্ট্রোল,
আহা ফোকাস ভর্তি জাঙিয়ার দেশ
আমাদের জ্বর ছেড়ে গেছে
জল ছেড়ে গেছে
ভালো মানুষের সোফা কাছে খুব কাছে আমাদের
মাথার ভেতর একটা কেয়া বাত কেয়া বাত সেলুন
তোয়ালে তোয়ালে অনুভূতি ঘিরে
ভোর হচ্ছে,
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি হুজুর, স্পষ্ট টের
ঝিনঝিন ঝিনঝিন ঝিনঝিন ঝিনঝিন
উধাও।
পুরোটা
উধাও।
উত্তরমুছুনআমাদের জ্বর ছেড়ে গেছে l sundor laglo pore,