ক্রিসমাস
অপেক্ষা অপেক্ষা আমার ফুলদানির
রেখাবে গান্ধার মধ্যম তীব্র ঊর্ধ্বমুখ
জুড়ে সরলবর্গীয় খুঁটিনাটি এই
ধৈবত পিছল অন্ধকারের মত ঠাণ্ডা
বনপথ লতাগুল্ম একটা শান্তি
বয়ে আনে কোমল নিষাদে আমি প্রশ্বাসজনিত
হাল্কা হোঁচট আর সেলামী তবলিয়ার
পরিকল্পিত হাততালি কুড়িয়ে অভিনন্দনের একটুকরো
বন্ধুহীন মোজা।
ক্রায়ো
তাই তাই শিথিল
আঙুর তুই ফুঁপিয়ে টইটম্বুর
হয়ে ওঠ্ মলিন শাড়ির মত
গড়িয়ে পড়ুক নোনতা আর মিঠি
(১)
রূমার ছড়ানো ঘাঘরা ঘির
ঘিরে আসে সবজে বাদরিয়া
পার্কে, দোলনচাঁপে, ছিপি খোলার
ফটাফট্ শব্দে ছাতার ঝাপট
জাঁকিয়ে সন্ধে ফ্যালে রেস্তোঁরিক
কায়দায় মৃদুহাসি
উষ্ণস্নান
অচেনা তোয়ালে ধীরে
ধীরে, গহনে,
ব-দ্বীপ আকৃতি পায়।
(২)
কিভাবে ধরলে কান্না
পায়, থামে ঠিক কতখানি
চাপলে হাতের মুঠি
খুলে আসে দেয়ালায় অল্প
হাসি ফুটে ওঠে ঠোঁটে, কানের
দুলহীন চারপাশ ভিজে গেলে টিকালো
নাকে বুগেনভিলিয়ায় গন্ধ হয়ে যায় ঠিক
কতটা এঁটোকাঁটা বেসিনে জমিয়ে রাখলে
ঠাণ্ডা প্রত্ন অভিনেতা বলেন ‘বাঃ
শাবাশ’?
(৩)
বৃষ্টিভেজা গলার মত বুজে
আসে প্রতিটি ঢোঁকে
ঢোঁকে চেনা অচেনার দূরত্ব দূরে
গানের আভাস হাল্কা
কথাবার্তার শব্দ শব্দে ফ্রিজঘুম
ঢুলি ঢুলি বৃষ্টিগুলোয়
বেজায় হাসি পায় হাসি
হাসি ও বৃষ্টি জড়িয়ে তাড়াহুড়োয় বোতামের পর
photography : the poet himself
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন