স্বপনঃ আজ খামার ভর্তি জোৎস্না। এর ভেতরেই আমাদের যা কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্বপনঃ আজ খামার ভর্তি জোৎস্না। এর ভেতরেই আমাদের যা কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বারীনঃ ওপারে আবছা মতো আলোটা এখন কাঁপছে।
স্বপনঃ এই আলো এই নম্রতায় আমরা আগামী দিনের গান গাইবো।
বারীনঃ কুন্তীর গলা খুব মিষ্টি। কেউ শুনল না।
স্বপনঃ আমি গান শুনেছিলাম যখন আমি জানতাম জানলা খুললে কি
হয়।
বারীনঃ তাকে দরজা জানলার বাইরে নিয়ে এলে সে তোমার যা
খুশী তাতেই হ্যাঁ করবে, আর একটুও দুঃখ পাবে না।
স্বপনঃ এতো চোখের জল এই নদী ...
বারীনঃ একবারই শব্দ হয়েছিল, অমল জলে ঝাঁপ দিয়ে ডুবল
প্রথমে।
স্বপনঃ আকাশ তার চোখ উলটে দেখছে।
বারীনঃ আলো হাতে
কারা এলো দেখার জন্য। কারো মধ্যে ঢুকে পড়া সহজ নয়।
স্বপনঃ আজ আর ঘুম আসবে না।
বারীনঃ তবুও কিন্তু ভেতরে ঢোকা যায় না।
স্বপনঃ সে এর বাইরে যেতে চায়নি। তবু সেই অদ্ভুত
মানুষগুলো এলো যাদের কাছে হরিণ মাংস ঝর্ণা শুধুই পানীয়
আর রুমাল দিয়ে ধর্ষণের চিহ্ন ওঠাতো।
বারীনঃ আর একটা গাছকে রেপ করলেই আমরা পেয়ে যাবো
ধারণামাফিক স্বাক্ষর এবং গিনিপিগ গাছটার গায়ে হেলান দিয়ে আবার রাম খাবো।
স্বপনঃ খুব সম্ভবত বজ্রপাত হবে না। এমন কি কেঁদে উঠবে না
কোন শিশু।
বারীনঃ অন্তত পরী-মেশিনরা তাই বলে।
স্বপনঃ তোমার কি! তুমি তো পাথর।
বারীনঃ এটাই তার মাটি। সারা জীবন বলে আমার কিছু নেই। আলো
আমাকে চালায়। আমি চলি অন্ধকারে; মাথার ভেতরটা ফাটিয়ে ফেললেও সেখানে অন্ধকার
বিশ্বশব্দ ছাড়া কোন আলো ইশারা পাওয়া যাবে না। আমি নিশ্চিত।
স্বপনঃ তুমি সেই কবেকার মতই দূরে থাকো। চিঠি যায় না চোখ
যায়না। মাঝে মাঝে মাঝে সমুদ্রে ঝড় উঠলে
বাসী মড়ার গন্ধ আছড়ে পড়ে। আগে মানুষের কথা ভাবো। ভাবতে
ভাবতে বুড়ো হয়ো না।
বারীনঃ মানুষের একটা শরীর আছে। মানুষের একটা মনও আছে।
তাহলে মানুষ নিজে মন বা শরীর নয়। তাই না কি ? সে একটা মেশিন।
স্বপনঃ দুশো ছটা হাড় হা হা করছে।
বারীনঃ ঠাণ্ডা স্ত্রী এবং ঠাণ্ডা পুরুষকে নিয়ে যে পরিবার
বেচে আছে তা নিয়ে হাসি মস্করা করা আমার উদ্দেশ্য নয়।
স্বপনঃ হাসিতে ধব ধব করছে সব । যেন সারা পৃথিবী পাঁজর
খুলে দেখাচ্ছে ।
বারীনঃ শুধু হাসি পাবে জনে জনে ধর্ষিত পুরুষের হামবড়া
গপ্পো শুনে।
স্বপনঃ রেডিও জানাচ্ছে পেদ্রো মৃত। একদিন হয়ত আমার কথাও
বলবে। একদিন এরকম রেডিওর কথা কেউ বলবে না।
( ক্রমশ )
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন