কখনও শুঁয়োপোকা, কখনও ইগুয়ানা, কখনও সজারু হয়ে গেছি
নিজেকেই দিয়েছি নির্বাসন
জানি, যাকে অপরিহার্য ভেবেছিলাম
ছুঁতে এলে তারই আঘাৎ লাগবে আগে
আমার এই মুহূর্তে কিছু হবে না
নতুন করে আর কিচ্ছু হওয়ার নেই
নিঃসঙ্গতা অভ্যেস করেছি
গলার কাছটা নীল হয়ে যাওয়ার পর।
পরাক্রম শান দিয়ে যাই
ক্ষতগুলোই পাথর, অমসৃণ নদীতট
ঘষে ঘষে ধারালো হয় -
ছায়ানট
সামনের আরও ক'টা ধাপ;
ভবিষ্যৎ।
আক্রান্ত বলেই হয়ত
হাঁত কাপে না, যেমন কাঁপত আগে।
প্রান্তর থেকে অনেকটা দূরে চলে যাই
বিস্মৃত হই, সরে সরে সেই গিরি কন্দরে
শরনার্থী শিবির আমার নয়।
আত্মসমর্পণ কর - নিঃসর্ত
আমি নিঃসর্ত কে নিঃস্বার্থ শুনি বার বার
মেঘ যেন তার জন্ম শত্তুর
ভাঙনের পাড় ভাঙা শব্দ যেন মেঘ ডাকলেই শোনা যায়
আজন্ম তাড়িয়ে বেড়ানো কালো মেঘ
মার্বেল পাথরে লেখা শান্তি নীড় ঘষা খেয়ে ম্লান
গ্রিলের খাঁচার পাড়ে ঘরপোড়া আপোশের ঘ্রাণ
ছুটোছুটির আভাসটুকু তবু পাওয়া যায়, ঘরে-বাইরে
উড়ে যাবে, ভেসে যাবে, ভিজে একশেষ
তাকেই যে দূর্যোগ বলে, তারই নাম বিপদভঞ্জন
উলঙ্গ পথশিশু হাঁ করে চায়
চেয়ে থাকে পরিচিত কাক, মগডালে তপস্বী চীল
জানলার ভেজা কাঁচে বিম্বিত মাথুর মিছিল
ফড়ফড় করে ওড়া ডায়েরির পাতাগুলোও একটু ভিজে নিক
না-পাওয়া গুলো তো চিরকালই পাশের বাড়ির ছাত!
অথচ বইঠা হাতে নিয়ে দেখেছি
যেমনই হোক নদী
ছোট পানসি আমার হাতে
দিব্যি বস মানে।
সন্ধে হলেই আলেয়ার মত ভাসে
নিরাপত্তার সন্ধ্যাপ্রদীপ আলো করে রাখে
নদী থেকে অনেক দূরে
গৃহস্থের তুলসীমঞ্চ।
বাসা বেঁধেছিলো সখী?
কাব্য না জেনেও শুধু ঘাটে বসেই
কত চোখ স্রোত দেখে যায়
সময়ের হিসেব না রেখে।
কাঁধে করে তুলে নেয় দেহ
শববাহক
হাতেদের মাথা হয় না
আর
মাথায় অন্য যা কিছু থাকে
তাও না
ওদের 'মাথানত' করতে শিখতে হয়না তাই।
মাথাগুলো নত হয়
দেহ ভারে
ঝুঁকতে ঝুঁকতে, ধুঁকতে ধুঁকতে
এগোয়... গন্তব্য।
ওই হাতগুলো পরিচিতিহীনই থেকে যাবে
ভিড় হয়ে,
আমরা চিনব মুখ দেখে
যে মুখে কথা ফোটে, আরও কত কিছু
ফোটে, ফাটে... বারবার
মুখ, সেও তো মাথার রাজত্বে উজীর
হাতেদের মাথা নেই, নিশ্চিৎ জানি।
অথচ ঐ নিথর দেহটার মাথা আছে
হাতও আছে,
শিথিল
আর কিছু ধারণের যোগ্য নয়
সারহীন শূন্যতা ছাড়া।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন