তাপদৃষ্টি
প্রলম্বিত
শ্বাসপ্রশ্বাস
অলিন্দের এক
প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত
আর পদক্ষেপ
স্পন্দন
ভাঙা রাতের
ধুকধুকি
চোখ থেকে
দূরে
দেখতে শিখছে
আঙুলগুলো
প্রলম্বিত
শ্বাসপ্রশ্বাস
ঘর মানেই
খাট, খাটের ওপর উষ্ণতা
আর চাদর
ভেজা ঘাম
বিলগ্নি আর
ভর্তুকি
আঁচে পুড়িয়ে
শেঁকে নিচ্ছে রুটি।
সেই সবুজ দরজাটা...
বেসামাল হাতে ভর দিতে দিতেই
অভ্যেসের শীলমোহর
দেওয়ালে দেওয়ালে
পাঁচ আঙুলের দাগ... দাগ
যেমন দোলের বিকেলে সবুজ দরজায়
নীল।
অস্থির মরু, মেরু বিভাজন অস্থির
রাস্তা পার হওয়ার আগে
জিরিয়ে নেবে
তারপর হিজাবে ঢাকবে মুখ;
দূষণই বটে...
তবে যা ভাবলে, তা নয়।
নির্মান-বিনির্মানে ওড়া ধূলো-মেঘ
সূর্য ঢাকা মেঘ
সন্ধ্যা তারা ঢাকা মেঘ
চাঁদ লুকনো মেঘ
ধূলোর হিজাব...
তবে যা ভাবলে, তা নয়।
বেসামাল পায়ে টলতে টলতেই
অভ্যেসের পদক্ষেপ
ধাপে ধাপে ওঠা
আর নামা
দেখা... উঠতে উঠত, নামতে নামতে
যেমন চোখ খোঁজে চোখ
সবুজ দরজাটা
খোলার পর,
অথবা বন্ধ করার আগে।
যন্ত্রবৎ-এর প্রতি
যতখানি শব্দ ধারণ করে একটা
রাত
অন্তঃসত্ত্বা হয়
যেটুকু নৈঃশব্দ ধারণ করে রেশম
কীট
স্বপ্ন বুনতে শেখে গুটির ভেতরে
তার চেয়ে অনেক ভারী
লোহার বাটখারা;
ক্লান্ত হয়েছ শুধু, মেপে নিতে নিতে।
প্রতিদিন একটু একটু করে
যান্ত্রিক হচ্ছে তোমার উপস্থিতি
তুমি হাসলে কি ধাতব শব্দ হয়?
কই, আমি হাসলে তো হয় না...
ক্ষয় শুধু আবর্ত মাত্র, তাতে ডুবলে;
তারই দু'পাশে বওয়া মহামায়া স্রোত চিনলে না!
অনুনাদ
অবাক হয়ে দেখা
ছায়ার চিরপরিবর্তনশীল দৈর্ঘ্য
আলো থেকে
দূরে যেতে যেতে
কেমন বিশাল হয়ে ওঠা যায়
ছায়ায় ছায়ায়
চোখহীন, নাকহীন, ঠোঁটহীন...
আসলে
আলো থাকলেও,
এদের বেমানান বড় হ'তে নেই।
আগুন, ছায়া আর নিজের স্পন্দন
অনুনাদ আশ্বস্ত করে;
আর একটা নিঃশ্বাস
বলে প্রলাপ
সেই গভীর কুয়ো... সেই আঁজলা ভরা
প্রশান্তি
জন্মের আগে আর পরে
ও'টুকুই নশ্বর নয়।
হে অহংকার, হে প্রিয়
মাঝে মাঝে অহংকারের দিকে
প্রশ্ন ছুঁড়ে দিই
কখনও ঢিলের মত, কখনও
আধলা ইঁট
তার মাথা বাঁচানো
পাশ কাটানো
নৈঃশব্দ
আমার ঠোঁটে লেগে থাকা
হাসিকে
আরও দীর্ঘ করে
সেই হাসি নিয়ে কুড়িয়ে নিই
ঝুঁকে পড়ে
কুড়িয়ে নিই ফিরতি রাগ
আর তার গায়ে লেগে থাকা
স্পর্শ
ঠিক সেই ভাবে
যেভাবে অহংকারকে
দেখেছিলাম
কোনও এক ভোরে
জুঁইফুল কুড়িয়ে নিতে -
মাটির কাছে মাথা নত করে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন