শয়নে স্বপনে তোমার নাম
শ্যাম ও শ্যামা
মরি
হে মরি হে মরি হে শাম
শয়নে স্বপনে তোমার নাম
শয়নে স্বপনে তোমার নাম
...আগুনের ছলে মুই বাইরা যাং
তবুও শাম তোর দ্যাখা না পাং
একদিন দেখিচং স্বপনে
মরি হে শাম সেই বদনামে...’
চিৎকারের বাইরে একটা বেড়াল
রাস্তা পেরোচ্ছে।
বা রা ন্দা
দেশ ছাড়ার ভাষায় এসে দাঁড়িয়েছে
বারান্দা
চলনের স্থিরতা নিয়ে দরজা বন্ধ
করতে গিয়ে আমি দেখলাম রবারের প্রতীক আমার অজানা।
পায়ের জটিলতায় নীচু হয়ে এক
নাচের অপেক্ষা পৃথিবীর আদিম মানুষ ভাবতে পেরেছিল।
তার ভেতরে জানলার পাথর,
সুড়ঙ্গ, মাশান পুজোর সিঁদুর।
কোথাও সাজানো নেই শীতকাল
ঝাঁকে ঝাঁকে দাঁত ও ট্যাক্সির
জনক দুঃখিত হয়ে বসে আছেন। তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই।
তাঁর কোনো ঘন্টাধ্বনি নেই।
শুধু শ্যামগন্ধ ছড়িয়ে থাকছে।
বেশিদূর নয়। শ্যামধ্বনি লেগে থাকছে মাঠে ও মিনারে।
* * *
‘বারো মাসে তেরো ফুল ফোটে
বছরে ফোটে হোলা
সই না যাইও যমুনার জলে
তোমরা না যাইও না যাইও
না যাইও সইরে ওই না যমুনার
জলে...’
ডাকিনী যোগিনী দিয়ে বানানো
তরকারিতে রাই শাক মিশিয়ে আমি আপনার সাথে শ্রীরাধার দেখা করিয়ে দেবো রামপ্রসাদ। শরীর
বিশ্বস্ত নয় এই পাথুরে ভাষায়। বাগানের বেড়াগুলো স্নায়ুতে স্থির ও তীক্ষ্ণ। ঘুম কে
আবিষ্কার করেছিল? ঘুমের পূর্বসূরীদের যোনি ও জননে বালিকার দ্বিতীয় লবণ। সামনে দিয়ে
শুধু ঘটে যাচ্ছে কাচের দুর্ঘটনা, ব্রীজ ভেঙে প’ড়ে যাচ্ছে মুখের শব্দ। নীচের নদীতে। মানুষ ঘুমোয়
ব’লে মৃত্যু এত সহনশীল। অনেক
ঘুমিয়ে সে রিহার্স করেছে মরে যাওয়া। রঙ থেকে বহুদূরে জিভ জড়িয়ে যাচ্ছে। গুঁড়ো
গুঁড়ো নৌকো ভেসে উঠছে স্যালাইভায়। আমি নৌকো গুঁজে রাখছি ম্যাপবইয়ের যেখানে যত নদী।
ঘরের উদ্ধৃতিচিহ্নে কেউ শুধু তোমার খেয়ালই রাখছে না, ঠুম্রীও রাখছে কিছু।
* * *
‘...ভাঙেতে ভোলার তৃপ্তি বড়ো
ত্রিভুবনের ভাং করেছে জড়ো
ধুতরার বিচি ভাঙেরই গুঁড়া
আমার উমার বদনে দিতেছে...’
শব্দ তুলে তুলে বাদ্যযন্ত্রের
এই সন্নিবদ্ধ অপেক্ষার পাশে
কে তুমি হে অফিস যাত্রী?
ফাল্গুন ভর্তি এক আস্তিন কেটে
ইঁদুর ব’সে আছে রোদ্দুরে।
রোদ্দুর ও রোদের মাঝখানে যে
জায়গাটা, সেখানে দাঁড়িয়ে শাড়ি বদলাচ্ছ তুমি।
তোমার পৃথিবী বদলাচ্ছ।
আমি স্পর্শ করছি ভাঁজ ক’রে রাখা ব্লেডের ধড়ফড়
বাদ্যযন্ত্র টের পাচ্ছে এই ঘোষ
ও মহাপ্রাণ বর্ণ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন