সিগারেট
সিগারেট
একটা খাওয়াই যায়। না খেলেই বা কি! তবে খেলেও কোনো গীতবিতান দূষিত হয় না। তবে খাই?
না থাক। আচ্ছা দাও। খাবো না বলছো? তা বেশ। তা’ হলে
রেখে দিই। তবে রেখে দিয়েই বা কি হবে, সেই তো খেতে হবে। শুধু মাঝে মাঝে দেখার জন্য
তো রাখা নয়, খাওয়ার বস্তু। খাওয়াতেই সার্থকতা। তা হলে খাই? না, থাক্। না খেলেও
ক্ষতি নেই। খেলেও কোনো ক্ষতি নেই। তা হলে খাওয়াই ভালো। এমন কি না-খাওয়াও ভালো। খেলে
কি হবে? খেলে ক্যানসার…..ক্যানসার হলে কি হবে? ক্যানসার হলে মৃত্যু ! মৃত্যু হলে কি হবে? মৃত্যু
হলে মরে যাবে। মরে গেলে কি হবে? মরে গেলে কিছু হবে না। শুধু মরে যাবে। আর না খেলে
ক্যানসার হবে না তো? মৃত্যু হবে না তো? তা কি বলা যায় -- মানুষ মরণশীল এবং মৃত্যু
ন্সিগারেট-নিরপেক্ষ। তার মানে সিগারেট একটা খাওয়াই যায়। তবে না খেলেও হয়। আর খেলেও
ক্ষতি নেই। তবে খাওয়ার বস্তু, খাওয়াতেই সার্থকতা।
তবে খাই? না থাক্? আচ্ছা খাই। খাবো? কি? চুমু। চুমু? না, ভুল করে বলেছি --সিগারেট।
সিগারেট? না, ভুল করে বলেছি- চুমু। ঠিক করে বলো- নাঃ তোমার অত খুতখুতানি কেন? চুমু
বা সিগারেট যাই হোক -- ব্যাপারটা তো একই।
প্রশ্নাতীত
হাসি আর কান্না যেন ভিন্ন
প্রকৃতির দুই বোনের আত্মা—
তাদের পরিণত করি মরুভূমির উজান ও
ভাটায়, আর
এ সবের
অর্থ?
আমি চুপ্ !
কারণ, কোনো কিছুরই কোনো মানে নেই আমার কাছে
তবু, প্রশ্ন প্রশ্ন আর প্রশ্ন
প্রশ্নে
প্রশ্নে ক্ষত বিক্ষত
এখন সত্যিই যদি আসো
দেখতে পাবে
প্রশ্নের বিছানায় প্রশ্নাতীত
উত্তর হয়ে শুয়ে আছি আমি
মানব-কবিতা
ডিটোনিটর
লোকটির
পোশাক নোংরা, চুল-দাড়ি, বিড়ি খায়। মুখে খিস্তি। মদের ঘোরে বউ পেটায়। নানারকম
দালালি। থাকে বস্তিতে আর লাল ঝান্ডার মিছিলে হাঁটে
পাখির ডাকের গুঁড়ো ঝরে পড়ে মাথায়
জিলেটিন স্টিক
দারুণ গান গায়। কন্ঠস্বরে মায়া।
রাত জাগে । পান্তাভাত আর পেঁয়াজ খায়। পড়শীর জন্য রক্ত দিতে ছোটে হাসপাতাল।
রেশন-কার্ড আছে, ভোটার-কার্ড আছে, শুধু ব্যাঙ্কের কোনো পাশবই নেই নেই!
পাখির ডাকের দাগ জামায় লেগে থাকে
আর ডি এক্স
যতো রাগ কমিউনিস্ট পার্টির ওপর! যতো
রাগ বউয়ের ওপর! যতো রাগ শ্বশুরবাড়ির ওপর!
যতো রাগ পুরুষের ওপর! যতো রাগ সাধু-সন্ত, অধ্যাপকদের ওপর। যতো রাগ কবিদের ওপর! যতো
রাগ নিজের জন্মের ওপর। ভালোবাসা শুধু মেয়ের প্রতি, নিজের,অপরের, প্রত্যেক মেয়ের প্রতি । সারারাত সে কথা বলে
চাঁদের সাথে
না-বলা কথাগুলি
তার বুকের ভেতর সারাদিন হাঁসফাঁস করে বক হতে চায়
ফিউজ
ভগবানে বিশ্বাস নেই। টাকাই ঈশ্বর
সে জানে। সেই ঈশ্বর তার নেই। একজন প্রায়-ঈশ্বর অবশ্য আছেন।
বন্ধুমহলে, নেশার ঘোরে,
একদিন তিস্তার বালুচরে, গভীর রাতে, বাঁধভাঙা চাঁদের আলোয় সে তাঁর নাম কথা
প্রসঙ্গে
, অসাবধানে বলে ফেলে
শুনে মনে হয় সে যেন কোনো এক বিদেহী চিলের ডানার ছায়া
টিফিন ক্যারিয়র
শুনে হতভম্ব ! সেই নাম শক্তি চট্টোপাধ্যায় তখন মনে হয় সে যেন এক শুকিয়ে যাওয়া জলবিন্দুর ঘ্রাণ
অন্তরীণ কবিতা-সন্ত্রাস
পরিষেবা সীমার বাইরে
হ্যালো পুলিশ স্টেশন? থানা? হ্যালো, হ্যালো
হ্যালো দমকল ? ফায়ার ব্রিগেড ?
হ্যালো
হ্যালো হসপিটাল ইমারজেন্সি ?
দৈনিক ভোরের বার্তা, হ্যালো?
হ্যালো, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট?
কে কোথায় আছো, হ্যালো?
হ্যালো
কাকাবাবু?
হ্যালো এনকোয়ারী ?
সব কি ধ্বংস হয়ে গেলো !
কেউ কি খুন !
কোথাও
কি অগ্নিসংযোগ!
নিখোঁজ! দুর্ঘটনা!
ভূমিকম্প
! ঝড় !
সাড়া
দিচ্ছো না কেন !
কেউ
কেন সাড়া দিচ্ছো না?
হ্যালো, ম্যাজিস্ট্রেট?
হ্যালো চিফ সেক্রেটারি?
ক্রিরিরি....রিং ক্রিরি...রিং....ক্রিরিরি....রিং
স্যরি, দ্য সাবস্ক্রাইবার ইজ নট
রিচেবল।
দ্য নাম্বার য়ু হ্যাভ ডায়াল্ড, ইজ
কারেন্টলি
আউট
অফ রীচ, প্লীজ ট্রাই আফটার সাম টাইম
আপনার ডায়াল করা নম্বরটি এখন
পরিষেবা সীমার বাইরে……
প্রশ্নের বিছানায়
উত্তরমুছুনপ্রশ্নাতীত উত্তর হয়ে শুয়ে আছি আমিক
কোন কথা হবে না। ঘ্যামা...