একবেলার জ্বর দিয়ে কেউ একজন দু’বেলার ঘাম শুকোতে চায়
একবেলার জ্বর দিয়ে যে এখন দু’বেলার ঘাম শুকোতে চাইছে
সে কবি নয় । সে কুঞ্জবনও নয়
‘তুমি এসো,করুণাঘন খাগের কলমকে ডাক দাও’
আর বলো ‘সে এই শরীরের জ্বর। সে এখনও অক্ষরপ্রাপ্ত হয়নি’
খাগের কলম কথা রেখেছে
সে এখন কলমের দাগে দাগে কবিতাপ্রণেতার জ্বর মাপছে
উত্তরের হাওয়া দিয়ে দক্ষিণে হরিণ তৈরি হয়
উত্তরের হাহা হাওয়া দিয়ে দক্ষিণের হৈহৈ হরিণ
তৈরি করতে করতে
সে অধুনা যাবজ্জীবন অক্ষরপ্রাপ্ত
সে কখনও এই অসুখের মুখোমুখি একটি বিপন্ন দরোজার হায় হায়
সে চেয়েছিল
সেই হরিণীর মুখ যেন ‘সকল দুখের প্রদীপ’ হয়ে যায়
‘আমার শরীরের ভেতরে তুমি একটা অন্ধকার তুষের চাদর হয়ে ডুবে যাও’
‘শোনাও, শোনাও, আমাকে একবার চাঁদের চতুর্দশপদী জাতীয়সঙ্গীতটি শোনাও’
‘আমার রক্ত ভক্তিমূলক আমার রক্তকে একখন্ড শাক্তপদাবলী করে দাও’
‘আমার নাভি নিভৃত দেশের যাত্রী যাই যাই রাত্রিকে সত্বর পত্র পাঠাও’
যদি শুয়ে শুয়ে একবারও তোমার সাথে কথা না বলে
তা’ হলে হরিণের উত্তুরে হাওয়া ও
দক্ষিণে হাওয়ার হরিণ তৈরি করা যায়না
হচ্ছেনা
যাও হে,কথা দিচ্ছি, আজ থেকে তুমিই লাটাগুড়ির পাটরাণী….’
আর অন্যদিকে তোমার আড়ালে আড়ালে
আমার গোটা শরীরটাই দু’টি ঠোঁটের পারাপার হয়ে ওঠে
আর দু’বেলার ঘাম মুছে ফেলতে
আমার সময় হরিণের একটিমাত্র আক্ষরিক লাফ
আমার দুই ঠোঁট কিছুক্ষণ লাটাগুড়ি ঘুরে আসুক
হৃদয়ের মাপ আকাশ-ভরা
বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার মায়ামফস্বল
অক্ষর-ভরা হরিণীর পেটে আমাকে লেখা একটি চিঠি আছে
একটি আন্তর্জাতিক চুম্বন আছে
তেমনি স্তনবৃন্ত কেটে ফেললেও বসন্তকেবিন লুকোনো যায়না
কেবিনের কাছে পৌঁছে গেল যুথিকা। এবং তারপ’র
বিছানার কাছে পৌঁছে গেল গল্প। এবং তারপ’র
জ্বরের রাত এবং রাতের হাততালিপুর
হো হো করতে করতে হরিণ দৌড়ে আসছে
‘হাততালিপুরে আজ আর কোনও রাত খালি নেই’
ফিরে এসেছে হরিণ-মার্কা চোখের কাজল
চা র শ ত চু য়া ল্লি শ কি লো মি টা র
আমিই যেন একমাত্র প্রাচীন
পথের ওপরে স্থির হয়ে পড়ে আছে
বিজয় দে এ সংখ্যার সেরা আকর্ষণ , খুবই ভাল লাগল কবিতাগুলি
উত্তরমুছুন