এইবার
ত্রিনয়ন বৃথা খোলা থাকে, তুলোর আঁশের মতো
উড়ে যায়, ভেসে যায় প্রেমঘন পদাবলী-কলি।
গবাক্ষে রেখেছি চোখ, আমার ভুবন তাই কেবলই
ছোট্ট চতুষ্কোণ। এখন হয়ত সন্ধ্যা শীতের দিনের,
চারকোণে নামছে আঁধার, জাল বোনা মাকড়সার
ব্যাহত হয় নি। হাওয়া কোন বিঘ্নের বাসনা রাখে না--
সেইকথা জেনে গেছে তাবৎ দুনিয়া, পুলিশ ও মিত্রের দল
যথেষ্ট আহারাদি শেষে তারা শোবে উষ্ণ শয্যায় পাশাপাশি
জাহাজ ছাড়ার ঘন্টা বেজে গেলো ওই
তীর ক্রমে দূরবর্তী হবে ...
আহত পাখির মতো এইবার যাবো তার কাছে...
আবছা হাতের সঙ্কেত
সেরকম কিছু লিখতে পারি নি কোনদিন
যেখানে ক্ষুধা
থাকে
লালসায় মিশে। বিদ্যেদেবির হাতে পারি নি ধরাতে
আইনক্সের
টিকিট, সাগরে
ভাসাই নি কাগজের নৌকো।
না
পারার তালিকা দীর্ঘ, হেরে যাওয়া—সেও তো অনেক !
পড়ন্ত বেলায় আজ একবার দেখে নিতে
চাই ফেলে আসা
রৌদ্রের
দিন, সামনে
লম্বা কালো রাত। কেউ তাকে ডাকে
ভালোবেসে --- “ যামিনী” বলেও
দেখি, একটা আবছা হাতের
সঙ্কেত... সে-ই বুঝি পাতা ছিঁড়ে
আলো
এনে দেয় !
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন