দুটি পুনরাধুনিক কবিতা
দুটি পুনরাধুনিক কবিতা
গভীর মাদুর
।
ঋণে।
আছি। আমি এই সুদকে
ঠাঁই।
করছি কী করে
।
গরম।
পুরনো বাঁকা। হলদে নদীর
জল।
পাওনাদার
দাঁড়
ফেলে
বিয়ার।
খেতে চাইছেন
।
ঝনঝন
করে উঠছে। প্রস্থ আর। দৈর্ঘ্য। খুচরো
শুরু
হচ্ছে
।
নৌকো। পর।
পার আর
।
তোমাদের
করছি
কী করে
।
পাচ্ছি
কী করে
বীজ
।
আঙুর
দিচ্ছি। আঙুল
দিচ্ছি
না। তুমি
পারছ। রক্ত
হয়ে
বয়ে
যাচ্ছে বিটধোয়া
লাল।
তুমি
।
ছাল
ফাটিয়ে
বেরিয়ে
আসছে
মেয়ে
।
বীজমন্ত্র। হাঁটুর
ব্যথা
উঠে
আসছে
চোখে
মুখে
।
মন্দিরের
অন্ডকোশ
সেলাই
হচ্ছে না
।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
বীজ টা তাও কিছু অর্থ দিল । বাকিটা শূন্যতা না আংটির মধ্যে গলে যাওয়া পশমিনা , বুঝি না
উত্তরমুছুনবহতা
আপনি নিশ্চয়ই জানেন বহতা, আপনি যেটা বললেন, তার চেয়ে বড়ো পাওয়া একজন কথাকর্মীর আর কিছুই থাকে না। আংটি এবং পশমিনা... আমিও সত্যিই জানি না।
মুছুনআমি তোর কবিতা দুটো পড়ার সময় বিনা অনুমতিতে একটু স্বাধীনতা নিলাম---
উত্তরমুছুনগভীর মাদুর
ঋণে আছি। আমি এই সুদকে
ঠাই করছি কি করে। ( ঠাই-- চন্দ্রবিন্দু আনতে পারিনি)
গরম পুরনো বাঁকা হলদে
নদীর জল।
পাওনাদার দাঁড় ফেলে
বিয়ার খেতে চাইছেন।
এসব কিছু নয় , ক্যামেরা।
কালি মেখে ঝনঝন করে উঠছে
প্রস্থ আর দৈর্ঘ্য ।
খুচরো শুরু হচ্ছে।
নৌকো পরপার আর
তোমাদের বসতে দেওয়ার মাদুর
গভীর করছি কি করে।
সুধার খোসা থেকে
হিসেব পাচ্ছি কি করে।
********
বীজ
আঙুর দিচ্ছি। আঙুল দিচ্ছি না।
তুমি খেয়ে মেনে নিতে পারছ।
রক্ত হয়ে বয়ে যাচ্ছে বিটধোয়া লাল।
তুমি মেনে দেখে নিতে পারছ।
ছাল ফাটিয়ে বেরিয়ে আসছে
ফর্সা মেয়ের রাগ।
তুমি ১ মেয়ে। বীজমন্ত্র ।
হাঁটুর ব্যথা উঠে আসছে চোখে মুখে।
মন্দিরের অন্ডকোষ সেলাই হচ্ছে না।
***********
প্রথম কবিতায় মেকিং অফ গভীর, আকর্ষক লাগলো। তার চেয়েও, পাঠককেও ওই মেকিং-এ হাত লাগাতে চাপ দেওয়া। ঋণের পাশে সুদ, মাঝে ঠাই শব্দটি। হলদে জলের পাশে বিয়ার, মাঝে পাওনাদার। ঝনঝনের পাশে খুচরো, মাঝে প্রস্থ আর দৈর্ঘ্য ।নৌকোর পাশে মাদুর, মাঝে কিছু নেই। সুধার পাশে হিসেব, মাঝে খোসা। মাঝে শব্দটা আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করছি না। এর মধ্যে ক্যামেরাটি, বহমান। নদীই প্রায়। তার মতই মিলিয়ে যাবে, আসবে না ফিরে কোনও দিন। নির্মাণটি খুব পোক্ত নয় অনুপম। তবে " কালি মেখে ঝনঝন করে উঠছে/ প্রস্থ আর দৈর্ঘ্য/ খুচরো শুরু হচ্ছে"----- দা রু ন ।
দ্বিতীয় কবিতায়, বারবার নিজের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করা তারপর খেয়ে দেখে এইসব ক্রিয়াপদ-এর সহায়তায় সেগুলোকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা। দৃশ্যকে দৃশ্যপ্রতিম অনুভব দিয়ে কাউন্টার করা, কাল্পনিক অভিজ্ঞতার ব্যবহার, ফর্সা মেয়ের রাগ পড়তে পড়তে বিটধোয়া লাল মনে পড়ার কথা পাঠকের। আরোপিত গুণ থেকে মুল বস্তুতে ফিরে যাওয়া এবং তুরুপের তাসটি দেখানো। ফর্সা মেয়ে থেকে তুমি ১ মেয়ে। তারপর, বীজমন্ত্র। দুরদান্ত। বীজমন্ত্র শব্দের ব্যবহার। ভাল লেখা। কিন্তু শেষ লাইনটি একদম বাইরে থেকে জবরদস্তি কবিতার ঘাড়ে এসে পড়ল বলে মনে হচ্ছে। না কবিতার জন্য, না পাঠকের জন্য কোনও ধাক্কা তৈরি করছে বলে মনে হচ্ছে না। চমক-ই মাত্র। মনে হচ্ছে।
এবং এও মনে হচ্ছে যে এতক্ষণ যথেষ্ট ভুলভালই বকে গেলাম। তুই এবং তোর পাঠকরা ক্ষমাঘেন্না করে নিস।
অসাধারণ পাঠ রঞ্জনদা। স্মরণীয়। এই ধরণের একটা পাঠ-প্রতিক্রিয়ার জন্য আজীবন লিখে যাওয়া যায়। কিন্তু, আপনার ক্ষেত্রেও, শেষ দুটো বাক্য বাইরে থেকে কেন এসে পড়ল বুঝলাম না। আমার কবিতার শেষ লাইনটা কিন্তু আপনি কেটে দিতে পারেন, পাঠকের খেলা ওটাই আমি চাই। আমার বেশ লেগেছিল লাইনটা লিখতে। অর্গাজম-অর্গাজম লেগেছিল। আবার কবিতা লেখার ইচ্ছে বহুগুণ বেড়ে গেল। প্রণাম।
মুছুন