তিনটি কবিতা
হরিণ বিষয়ক
আমি
হরিণ লিখলাম
আর
তোমার গায়ের রং
গমের
দানার মতো
বর্ণনার
ওপর
কুসুমের
গঠন নিয়ে
অভিবাদন
জানাল আমাকে।
আমি
ভালো করে চিনতে পারলাম না।
প্রজাপতির
গায়ে যেমন অরন্য আঁকা থাকে,
প্রত্যেকটা নক্ষত্রের নীচে যেমন শূন্যের হাহাকার,
আমি
শিহরণ বুঝতে না পেরে
তোমাকে
ড্রয়িংরুম বলে ডাকলাম...
আর
দেখতে পেলাম হলুদরঙের শ্বাসকষ্টের ভেতর
তুমি।
একদম
বলগা বয়ঃসন্ধি।
তোমার
হরমোন নেই।
দাঁড়িয়ে
থাকা নেই।
শুধু
খুরের ভেতর সাদারঙের মোজা...
স্কুলড্রেসের
হাইওয়ে...
আমার
গা ছুঁতে বারণ করল
তোমার
মা
ক্যালেন্ডারের
দীঘল হরিণী
অসুখ
হ্যাজাকের
আলো ভুলে গেছি
তালু
থেকে আমের আঁটির রস
গড়িয়ে
নামা বিকেল
মাছির
ভনভন, গাছভর্তি পাখপাখালি
ধূ
ধূ মাঠের ডার্করুম
কতবার
এই নির্বোধ ভিতু
ডোরাকাটা
কোনো এক অনুসরণের ভয়ে
আর
ঘুমুতে পারছে না। চারপাশে সদ্য ফাঁসি দেওয়া
টুলুকাকিমার
এলোচুল... অথচ দরজার খিল নেই
খাঁ
খাঁ একটা রাত্রির মর্মর।
এখন
আর খুঁজে পাই না
অনেক
পরিচিত গাছ, হারকিউলিস সাইকেলের মতো
চোখে
পড়ে না।
মটরবাবুর
গম্ভীরার সঙ্গে হ্যাজাকের যে সম্পর্ক,
কাঠবেড়ালির
সঙ্গে পেয়ারাগাছের,
আত্রেয়ীর
সঙ্গে খিদিরপুর শ্মশানের
আমরা
বেছে নিয়েছি অবসাদ, একজাতীয় গন্ধ
ডাক্তারের
বারণ সত্ত্বেও সর্বনাম ভুলে গেছি
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
দুপুরের
রোদে এ-সব কীসের দাগ
আমি
ছিঁড়ে ফেলতে চাই এই সব ভাঙা সম্পর্ক
আমাদের
কেউ নেই, শুধু সামান্য আলুচাষ
তাও
নেমে যেতে থাকে অনুমানের দিকে
এপ্রিল
রঙের রোদ তার সুপ্রাচীন ঔজ্জ্বলের স্তন
পতঙ্গের
ট্যাটু যেন খুঁজে না পায় তাকে
অন্তর্ঘাতের
পর আজ ঘামের ভেতর
সে
যেন অ্যালিয়েনেশন
সর্বনাশ
ঢুকিয়ে নেবে ঝিনুক
যৌনসুখ
কেমন পুরনো এখন মনে হয়
ভারতীয়
কমিউনিস্টদের ত্বকের মতো জরা
স্বভাববশত
এইসব দ্বিপ্রাহরিক বিবাহবিচ্ছেদের দুঃখ
উদাসীনতা,
সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে পড়ে...
বয়সজনিত
কিছু বিষাদ গঠন ভাঙার পর
বিচ্যুতি
নম্র হয়ে আসে
কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন