ইচ্ছে
আমার
লেখালেখির কোনো ঘর নেই
আছে
বৃক্ষজন্ম
নিয়ে নস্টালজিক এক জাতিস্মর চেয়ার
সুখ-দুঃখে
নির্বিকার জন্মবধির এক টেবিল
নানা
রঙে আসক্ত পরিহাসপ্রিয় কয়েকটি কলম
ভার্জিন
রাইটিং-প্যাড
এক
অকালপক্ক জানালা, যে নিজেকে সর্বদর্শী মনে করে
আর
আছে পাগল-পাগল লেখার ইছে
ঘরই
নাই... না-ই বা থাকল
তাতে
লেখালেখির কী যায় আসে, বলুন
অথচ
ওই
ইচ্ছে একটা ঘর চায়, যে ঘরে নাকি
উপেক্ষিত
পান্ডুলিপির ভেতর নেংটি ইঁদুররা বসত গড়বে
তাদের
ছানাপোনা হবে
ইঁদুর
ধরতে আসবে শীতার্ত বেড়াল, বেড়ালের পেছনে
ধুঁকতে
থাকা কুকুর, কুকুরের গন্ধে পথ খুঁজে
বয়ঃসন্ধি
পেরিয়ে আসবে
ক্ষুধার্ত
বাঘিনি
তবে
কি বাঘিনির সঙ্গে একান্তে ইয়ে... মানে, নৈশভোজ
মিলিত
হওয়ার জন্য
মধ্যরাত্রির
স্বপ্ন, অভয়ারন্য অথবা চিড়িয়াখানা নয়
ঘরই
সবচে’ উপযুক্ত স্থান
হতে
পারে, ইচ্ছের মতিগতি দেখে তাই তো মনে হয়
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন