একে একে স্থান নিলো কিছু লেখক লেখিকা, কলাকুশলী
ডায়াসে দাঁড়িয়ে তখন চলছে কবিতা পাঠ।
কলাকুশলীরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন
নিজেদের প্রমাণ করতে। আর কতটা দেরি আছে
ঠিক কতটা দেরি আছে নাম ডাকতে।
তখনি পিছন থেকে একজন উঠে দাঁড়িয়ে বললেন
সভ্যগন এমন কি হয় না যিনি প্রকৃতি নিয়ে লিখেছেন
তিনি পড়বেন খোলা মাঠে আকাশের নীচে
যিনি শহর নিয়ে লিখেছেন তিনি পড়বেন শহরের উপকণ্ঠে
যিনি মানুষ নিয়ে লিখেছেন তিনি পড়বেন মানুষের এর সম্মুখে-
কেন এই রুদ্ধদ্বার কক্ষ এই জৌলুস?
সভাঘর নিস্তব্ধ হয়। যে যার দিকে তাকাতে থাকে
আকাশ নেমে আসে সভা ঘরের ছাদে, শহর থেমে যায়
বৃক্ষ জমায়েত হয় দ্বারে। কিন্তু মানুষ আসে না।
কবিরা ফিরে যান যে যার বাড়িতে। আবার শুরু হয় নীরব পাঠ।
কারণও তো নেই
জীবনের টুকরো টুকরো আকাশ জুড়ে দাও
জীবন না পেলেও বেঁচে থাকবে
ভাববে এটা তোমার পরাধীনতা।
কেন সৃষ্টি করি হরিণের পায়ের শব্দ
স্বঘোষিত হাসির হুল্লোড়, কৃত্রিম প্রবাহ
আগুপিছু ক্ষণিকের সম্বর্ধনা ছায়া মারীচের বনে-
পিরামিডের নীচ থেকে উপরে উঠে যায় খাদকের লেফট রাইট।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন