অব্যয় অনিন্দ্য’র কবিতা
১।
তাপ আহা তাপ
ওড়নাটা এখনো
পোড়েনি?
আমি ছাই হয়ে গেছি
কখন।
২।
আজকাল যখন-তখন বৃষ্টির গা-গরম হয়
জ্বর দেখতে রোদ
ছুঁয়ে দেয় জলের কপাল
বারান্দায় কাঁপতে
থাকা কগাছা অবাধ্য চুলে
আমার চোখ
থার্মোমিটার হয়ে যায়।
৩।
ভাগ্যিস শূন্য
আবিষ্কার হয়েছিল -
অংকবিদরা আর আমার
হৃদয়টা নিয়ে কাড়াকাড়ি করে না।
৪।
ভোঁ করে বিকেলের
সূর্য্যকে ভেংচিয়ে উড়ে গেল প্লেন
প্লেনের আলোতে
চলন্ত শব্দ দেখছিল জ্বানালা বধু
প্লেন চলে যায়, শব্দটা থেকে যায় -
রাতে একা বিছানায়
শব্দ করে কাকে খোঁজে
ওকে ঠাণ্ডা জল
দিয়ে ঘুমিয়ে পরে বধুটি
প্রতিধ্বনি ঘুমায়
না – নিরন্তর খুঁজে
চলে
যাকে খোঁজে –
রিয়াল কিনতে গেছে –
যৌবনের দামে
সেখানে বুর্জ
তৈরি করে - চিঠি এসেছে
বুর্জ - বিরাট
উঁচু দালান
চিঠিটা মাঝে মাঝে
দীর্ঘশ্বাস হয়ে ওঠে -
বুকের শব্দটা
প্লেনে তুলে দাও
শব্দদূত দেখে
আসুক -
রিয়ালের চেয়ে
বুকের উষ্ণতা কতখানি কম হলে -
একাকী রাতের
হাঁসফাঁস
মরুর বুকে বুর্জ
হয়ে জ্বলে
হঠাৎ টেবিলে রাখা
গোলাপে চোখ পড়তেই -
প্রতিবেশী
ছেলেটার ফিসফিসের সিঁড়িতে
নতুন স্বপ্ন-বুর্জ
আর একটু উঁচু হল
মরু-বুর্জ আর
স্বপ্ন-বুর্জ কলির রাধাকে নিয়ে শ্যাম-কুল নৌকায়
কে জিতবে –
বুকের শব্দই বলবে আজ রাতে
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন