গারোহিল,
তুয়ার দূরবীনে
রিপন
ফিও
১
নিথর ভাষার তীরে শুয়ে আছে মানুষেরা
ওদের ভাষায় কোন চোখ নেই আর
নিজের কি-হোল দিয়ে ভিতরে তাকালে
সকলেই ধূ ধূ এক জরাভূমি দ্যাখে
যেখানে ছায়ার নাম কোনদিন জানতো না কেউ
যেখানে আকাশময় পাখিদের লুপ্ত ঝুলে থাকা
গিঁট খাওয়া মড়া নদী, তাতে প্যাঁচানো পাহাড়
কপিশ কুড়ানি হাতে খেলা করে
লোলুপ ডাক্তার
২
মেঘের আঁতস কাঁচে ধরা পড়ে চাঁদ
যেভাবে তিমির নীল রঙ হয় তুয়ার কাফনে
আলো হাঁকে, এবার বৈঠা খোলো সখা
দু’ একটা স্বপ্নের গোল আমরাও করি!
আলো হাঁকে, আলো, হাতছানি দেয় সখা
এইবার ছানিগুলি কাটো, স্বপ্নের বিষ দাঁতে
সান দাও মাদারি আঁধারে, এসো খেলি
রঙিন নতুন কিছু টিলা
চাবা গানে ডুবে থাকি ক্ষুধা না ক্ষুধার চিল
গুলতিতে… জমুক পাখিরা
৩
অবলীলাক্রমে ভেসে যাই সুর থেকে সুরে
আমাকে সঙ্গ দেয় তোমার নূপুরগাছি
ধাগা বাঁধা এসব নুপুরগাছ, ই এ ই
চৌচির সূত্রের কাছে মরবে বলেই
আমাকে সঙ্গ দিয়ে থাকে
দ্যাখো তার কীরকম ডানা
দানাদার, পাতায় পালকে হারা
সবেতার হৃত গলগল, সারারাত
দ্যাখো দ্যাখো, কীরকম ওড়ে দ্যাখো
আপিস ফেরতা পথে বিমনা গনিকারা
৪
একটা শুয়ে থাকা পুতুলের মধ্য থেকে
বেরিয়ে এলো একটা হেঁটে আসা পুতুল
পাঁচালির ছন্দে ছন্দে তাকে
গেঁথে নেয়া শুধু, ফিনফিনে স্নায়ুর ফলায়…
এসব কোন বন্যাত্রানের স্বপ্ন হবে
যখনই আসে মুখ চোখ ভিজে যায়
তুমি হ’লে মুক্তোকনা, ফুটে ওঠে বিন্দু বিন্দু!
৫
আপনি কিভাবে শুরু করেন দাদা, আমি শিশু ভাবে করি।
ফুলকে আপনি কি চোখে দেখেন দাদা, এক্ষেত্রে আমার
আর কোন চোখ নেই। যেখানে ধূসর গুহাগুলি ওড়ে;
শরীরে আগুন নিয়ে ধূসরতর সেইসব দেশের সামিল…
আহা ওগো অতীতের রঙিলা সময়… কারা ডাক পারে!?
দু’টি হাসি আলাদা আলাদা; মিলে মিশ খেয়ে একাকার হলে
বিউগল বাজে… ভোরের স্বপ্নে দেখি ধুয়ে যাচ্ছে শহর
এলোচুলে ড্রোনেরা এয়েচেন, কড়কড় মড়মড় শব্দে
ঝারবাতি ফুলবাতি তারাবাতির ন্যায় আশিস ঝরছে তার
অন্যের মৃত শিশু, ক্রমে হয়ে উঠছে নিজের, নিজেদের
এবারে পানশালারা, চ্যাট বোল্লে জমজমাট কালি বোল্লে চমৎকার
আহা সব সাঁওতাল পরগনা, পরাগ পরাগ ঘ্রাণ, নশিন দুপুর
ধ্বংসস্তূপে ঘোরে সেইসব ছায়াহীন ডপকা কুকুর
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন