অস্ফুট গানের কাছে গেলে
ঠোঁটে এসে মিশছে মাদল
জলের শার্সিতে উত্তাল মায়া
দু’চোখ ছাপাচ্ছে অপেক্ষা
পিছু ডাকছে কে আজ তুমুল বৃষ্টি
কেউ কি দেখছে
কেউ দেখছে কি
সরল ছবির ভাঁজে লুকোনো আঁচড়ে
তার হাত দুটোর নক্ষত্র হয়ে ওঠা
সোনাটা
সবুজ ভ্যালি থেকে দূরে আমাদের ভোজ বিহার
জল থেকে জলতরঙ্গে, জেনারেল স্লিম
হৃদয় খুঁড়ে তুলছি দেখ প্রত্নতাত্ত্বিক ঘাম
চিমনি থেকে চোখের চৌ-খোপে, শত্রুঘাঁটি
আপাত-নির্লিপ্তির বিচিত্র এক উল্কি আড়াল
ঝিকিয়ে উঠছে তবু সিমেট্রির রোদ
নীল গলে এখনও তো ভাসে বিষের তরবারি
এখনও তর্জনী হেলানে..
নিভৃতের ফুলে বাজে বিষণ্ণ সোনাটা
অসুখ
সমস্ত অসুখের ভেতর
বেড়ে উঠছে দু’টো গাছ
ডালপালা ছড়ানোর আগে
শব্দ ভাঙছে
মাস্তুল ভাঙছে
আমি আমি আমি..
বাবা, আমার এক পায়ে জুতো
বাবা, হাত দু’টো শক্ত করে ধর
কেউ বলছে এ্যাজ ইউ লাইক
কেউ বলছে, অসুখ ভেঙ্গে দাও তুমিও
খুশি থাকো, খুশি থাকো, শুধু খুশি থাকো
যেন থাকাটাই সব..
আমি কি বলব
এই দীর্ঘশ্বাস..
এটুকু অন্তত থাক !
ঘুম অথবা সঙ্গীতে
অন্ধকার তরল হলে দু'তিন লাইন রেড সিগন্যাল
অরোরার অহিফেন নেশা
পা ডুবিয়ে তুমি ভেজামাটির অ্যাসাইলাম শুদ্ধতা
গাইছ গর্ভসঙ্গীত, বন্ধুহীন টুপটাপ
কোমল ঋষভে ছুঁয়েছ মিশরের প্রবেশদ্বার
এসবে সহজতা কোথায়..
থেকে থেকে ফেরানো বেতফল
শৈশব ডেকে নিচ্ছে ঘুমাবে বলে
বৃত্তাভাস
সেইসব সন্ত্রাস দিনে আমাদের জন্য মহাজাগতিক উষ্ণতা আনতে গিয়ে রাত্রিজোনাকগুলি ছোট হতে হতে একদিন হারিয়ে গেল..
সেই থেকে আমরা যে যার নাভিমূলে হাত রেখে অপেক্ষায় বুনছি দিন,চাইছি নির্বাণ। আমাদের বর্ণহীন চোখ- রাত্রির বাঁকে বাঁকে তীর্ণের জল নিয়ে ভেঙে পড়ছে জলের প্রিজমে। নিভে যাচ্ছে স্থাপনার আলো, ফুরিয়ে আসছে, অথচ বিস্ময়-
লুপ্তপ্রায় ঘুম অজস্র পদ্মপাপড়িতে লিখছে সূচনাপর্ব।
ধীরে শ্রমণা-
মুখবন্ধের শেষ শব্দযোজনা এখনও বাকি..