অনুপম বলছি
অনুপম বলছি
‘বাক’ ৫ বছর পূর্ণ করতে চলল। আর দু-একটি সংখ্যা পরেই। জীবন যেমন দেখতে দেখতে কেটে
যাচ্ছে, তার সঙ্গে খুব আলাদা করতে পারছি না। ‘বাক’-এর একটা নিজস্ব জীবন আছে। সেটা
অবিশ্যি ‘বাক’-এর সঙ্গে যুক্ত আমাদের চেয়ে অনেক স্বতন্ত্র। সে তার নিজের মতো করে
বেঁচে চলেছে। আজ সে এমনকি অনুপম মুখোপাধ্যায়ের তোয়াক্কাও খুব একটা রাখে না। সে অনুপমকে পেরিয়ে গেছে।
বাংলার প্রথম ওয়েব-পত্রিকা ছিল সম্ভবত ‘পরবাস’। প্রথম আন্তর্জাল কবিতা পত্রিকা ‘কৌরব অনলাইন’।
এই শতাব্দীর প্রথমেই ব্যাপারটা একেবারে অন্যরকম ছিল। আজকের মতো ঘরে ঘরে কম্পিউটার পৌঁছে যায়নি। মোবাইল ফোন তখন হাতে হাতে ঘুরত না। মোবাইলে ইন্টারনেট-সংযোগ তো তখন কল্পবিজ্ঞানের মতো শোনাত। আমার মনে আছে ২০০৪ বা ২০০৫ নাগাদ সাইবার কাফেতে গিয়ে অনেক মেহনত করে একটি ওয়েবপত্রিকাকে লেখা পাঠাতাম। বেশ কিছু পয়সাও খসত, কারণ বাংলায় টাইপ করতে জানতাম না। আজ এগুলো বাস্তব।
আজ আন্তর্জালে ‘কৌরব’, ‘আদরের নৌকা’, ‘দলছুট’, ‘নতুন কবিতা’, ‘বাউন্ডুলে’, ‘মাসকাবারি’, ‘দ্রঃ বিদ্রঃ’, ‘সৃষ্টি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘জার্নি ৯০জ’, ‘হাতপাখা’, ‘মথ’, ‘গুরুচন্ডালী’-র মতো ওয়েবপত্রিকারা হৈ হৈ করছে। পত্রিকাগুলো প্রকাশের পরেই মুহূর্তের মধ্যে ই-মেল বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের দৌলতে পাঠকের মনিটরে পৌঁছে যাচ্ছে। পাঠকের ঈর্ষনীয় সংখ্যাটাও প্রতি মুহূর্তে জেনে নেওয়া যাচ্ছে। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যদি না-ও থাকে, আজ মোবাইলেই একটি ওয়েবপত্রিকাকে পড়ে ফেলা সম্ভব। লেখা পাঠানোও সম্ভব। ইউনিকোড আজ সব বুদ্ধিমান যন্ত্রের মগজে ঢুকে আছে।
‘বাক ৮২’-র কবিতা বিভাগ উত্তরবঙ্গ সংখ্যা হিসেবে দেখা দেবে।
উত্তরবঙ্গের কবিতার একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ সেখানে ধরা দেবে এমন আশা রাখছি।
- অনুপম মুখোপাধ্যায়
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন